মিনিটে শতাধিক গাড়ী অতিক্রম ও ৫০/৬০ টন মালামাল বহনকারী লড়িগুলো দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। একটু বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে একাকার হয়ে যায় মহাসড়ক। আর এসব গর্ত ভরাট মেরামতের কাজ করছে নিম্নমানের বিটুমিন আর ইটের কংক্রিট দিয়ে। ফলে মেরামতের সাথে সাথেই ভারী গাড়ীর চাকার আঘাতে সব ছিটকে আবার গর্তে পরিনত হয়।এভাবেই চলছে সীতাকুণ্ডের মহাসড়কের মেরামতের কাজ।
সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের কাজ এমনিতেই নিম্নমানের হয়েছে। চলতি সপ্তাহে যোগাযোগ মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন কাজের এ অসংগতির কথা। তারপর একটু বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে ছোট বড় গর্তে পরিনত হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা সংস্কারে কাজ শুরু করলেও নিম্নমানের বিটুমিন আর কংক্রিট দিয়ে গর্ত ভরাটসহ কাজের মান নিয়ে চালকদের রয়েছে নানান অভিযোগ।
বাড়বকুণ্ডের গাড়ী চালক মোহাম্মদ হোসেন অভিযোগ করেন, চলতি সাপ্তাহে দুদিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছে, তাতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অনেক জায়গায় পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমা থাকে। সেখানে গাড়ির চাকা পড়ে পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলছে। চট্রগ্রাম সিটি গেট থেকে বড়দারোগাহাট পর্যন্ত কয়েক হাজার গর্তে গাড়ী চলাচলে মারাত্নক সমস্যা পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিম্নমানের বিটুমিন মেশানো ও ইটের কংক্রিট দিয়ে রাস্তার গর্তগুলো ভরাট করছে। গর্ত ভরাটে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না। এতে ব্যস্ততম সড়কের গাড়ির চাকার সাথে লেগে ওই কংক্রিট সাথে সাথে ছিটকে পড়ছে রাস্তা জুড়ে। ছিটকে পড়া কংক্রিটগুলো রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির জন্য নতুন হুমকি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনা ঘটছে অহরহ।
রামদাস নামের একজন গাড়ি চালক বলেন, বৃষ্টিতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে উঠেছে । পুরো রাস্তায় শত শত খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। কোন কোন গর্ত বেশ বড়। গাড়ির চাকা পড়ে গর্তগুলো ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। গাড়ী পাংচার হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে রাস্তার গর্ত ভরাটের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকরী হবে না বলে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।
রামদাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে গর্ত ভরাট করা হয়েছে তা খুবই নিম্নমানের। ঢালাই দেয়ার সাথে সাথে গাড়ির চাকার সাথে লেগে তা উঠে যাচ্ছে। চার লেনের রাস্তার এক পাশের দুই লেনকে বিভক্ত করে কিছু কিছু এলাকায় স্থায়ীভাবে কাজ করলে ভালো হতো বলেও ভূক্তভোগীরা মন্তব্য করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আমাদের সাধ্যমতো সাথে সাথে মেরামত করছি।
চট্রগ্রাম সড়কও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন,বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে গর্তে সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি বন্ধ হলেই মেরামত করে গর্ত ভরাট করে দেয়া হয়। নিম্নমানের বিটুমিন ও ইটের কংক্রিট দিয়ে চলছে মেরামতের কাজ, এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, সরকার সরবরাহকৃত বিটুমিন পাথর দিয়েই কাজ হচ্ছে, কোন নিম্নমানের পণ্য দিয়ে নয়।