স্টেশন আর ট্রেন গুলিতে অনেকটা সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। সিটের বাড়তি যাত্রী নেই বললেই চলে। ফিটফাট স্মার্ট লোকজনই কেবল ট্রেনের যাত্রী হতে পারছেন। প্রান্তিক পর্যায়ের লোকজন, খেটে খাওয়া দিন মজুর, সাধারণ শ্রমিক এবং জনগন যাদের কোনো স্মার্ট ফোন নেই অথবা প্রযুক্তির হাল নাগাদ জ্ঞান ও চুর্চা নেই তাদেরকে এবারের ঈদ যাত্রায় রেলওয়ের স্টেশনগুলো স্বাগত জানাতে মোটেই প্রস্তুত নয়।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে রেলওয়ের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জাতীয় পরিবহন সংস্থা হিসেবে রেলওয়ে এখন বিশেষ শ্রেণির লোকজনের পরিবহন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করছেন ভোক্তভোগী মানুষরা। তারা বলেন -শত ভাগ টিকিট অনলাইনে দিয়ে এনআইডি এর মাধ্যমে সাধারণ ভাবে অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকিট ক্রয় এবং ভ্রমণকালে এন আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হলে সবার স্বাভাবিক ভ্রমণ নিশ্চিত হত।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকেটে ভ্রমণের ব্যবস্থা রাখলেও এ বিষয়ে সাধারণ শ্রেণির যাত্রীদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ রেলওয়ে সাধারণত উৎসব ও বিভিন্ন বিশেষ সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণের মাধ্যমে আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ করে থাকে। এবারের ঈদ উৎসবে আসন বিহীন যাত্রী তেমন না থাকায় টিকিট বিক্রির আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
সাধারণ যাত্রীদের ভ্রমণ এবং রেলওয়ের আয়ের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে শত ভাগ টিকিট অনলাইন সিস্টেমে বিক্রির সিদ্ধান্ত কতোটা যৌক্তিক হয়েছে তা গভীর ভাবে পর্যালোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অংশীজনরা। তবে,এই সিস্টেমে রেলওয়ের আয় কমলেও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে টিকিট বিক্রয়র সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান সহজ সিস্টেমে ডট কমের। প্রতি টিকেট এ বাড়তি ২০টাকা এবং ফেরতে সম পরিমান অর্থ আদায়ের মাধ্যমে করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী, আয় আর গ্রহণযোগ্যতা সবটাই কমেছে।