একটি সিঙ্গেলস শিরোপা না জিতেও যে তারকা হওয়া যায়, আনা কুর্নিকোভাই এর বড় প্রমাণ। টেনিসে সর্বকালের আবেদনময়ীদের তালিকা করলে রুশ সুন্দরীর নাম সেখানে সবার ওপরে থাকবে। কুর্নিকোভাকে ছাড়া যেমন সেক্সম্বিলদের লিস্ট পূর্ণ হবে না তেমনি সম্পন্ন হবে না টেনিস তারকাদের তালিকাও। ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিক অবসরে যাওয়া কুর্নিকোভার বয়স এখন ৪১। ২০০৪ সালে ২৩ বছর বয়সে পুয়ের্তো রিকো ম্যাগাজিনে একটি সুইমস্যুট কোম্পানির হয়ে তার সাহসী সব ছবি যখন বিশ্বখ্যাত পুয়ের্তো রিকো ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় তখন নতুন করে ঝড় ওঠে।
টেনিস তো বটেই গ্ল্যামার জগতের অনেক ছবিকেও ছাপিয়ে যায় সেই ছবি। সেই ছবিগুলো তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার তিজিয়ানো মাগনি। সেই দিনের স্মৃতি স্মরণ করে কুর্নিকোভা বলেন, ‘জাস্ট অ্যামাজিং। সুইমস্যুট কোম্পানির উদ্বোধনীতে পুয়ের্তোর জন্য তোলা সেই ছবি এবং সেই ফটোগ্রাফারের কথা আমি কখনো ভুলব না।
এটা স্পোর্টস এবং সৌন্দর্যকে একসূত্রে বেঁধে দিয়েছিল, সঙ্গে ফ্যাশনও। ছোটবেলা থেকে এখনো যে ম্যাগাজিনটি আমি পড়ে চলেছি তার কভার স্টোরিতে আসতে পারাটা ছিল ভীষন গর্বের।’ ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে গ্র্যান্ডস্ল্যামে অভিষেকে টেনিসবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিলেও কোর্টে খুব বেশি সফলতা পাননি কুর্নিকোভা। ১৬টি ডাবলস জিতলেও মেয়েদের এককে জিততে পারেননি একটিও শিরোপা। মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পরপর দু’বছর ইউএস ওপেন জয় রাশান সুন্দরীর সেরা অর্জন।