কিশোরগ্যাংয়ের নির্মমতার শিকার তেজগাঁও সরকারী বিজ্ঞান কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আহসান হোসেন আলিফ (১৪) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। অপরিচিত কাউকে দেখলে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে ঘুমের মধ্যে চিৎকার দিয়ে উঠছেন ” বাবা আমাকে বাঁচাও, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।” ছেলের এমন পরিস্থিতিতে মা, বাবার চোখেমুখেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহত আহসান হোসেন আলিফ বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সন্তান। তাদের বাসা রাজধানীর ১৩৬/বি পূর্ব রাজাবাজার শেরেবাংলা নগরে।
২৪ এপ্রিল বিকেল ৫ টার দিকে আহসান হোসেন আলীফকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফার্মগেট এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে এবং ছুরিকাহত করে মারা গেছে ভেবে ফেলে যায়। এরপর থেকেই হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে কাতরাছে ব্যথার যন্ত্রণায়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে আলিফের বড় ভাই মোঃ আহনাফ হোসেন আদিত দৈনিক ভোরবেলাকে বলেন, ছোটভাই ওইদিন বিকেলে ফার্মগেট এলাকার তেজগাঁও মহিলা কলেজের ১০ নং গলিতে তার বন্ধু ফারমানের বাসায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রিফাতের নেতৃত্বে মেহেদী, শান্ত, সাজ্জাদ, সাজিদ ও শাওন আলিফকে লোহার রড দিয় বেড়ঢক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছুরি মেরে জখম করে। এতে আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে কিশোরগ্যাং ক্যাড়াররা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল আলিফের বড় ভাই আহনাফ হোসেন আদিত বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে রিফাত হোসেন (১৯), মেহেদী (১৮), সাজ্জাদ হোসেন শান্ত (১৮), মোঃ সাজিদ (১৮), মোঃ শাওন (১৮), মোঃ তুষার (১৮), মোঃ রাব্বী হোসেন (১৮), মোঃ তানভীর আহাম্মেদ (১৮), মোঃ ইয়াসির হামিদ নাঈম প্রকাশ শাওন (১৮), অনিক (১৮), হিমেল (১৯), শিপন (১৮) ও ছোটনকে (২০) আসামি করা হয়।
তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আপূর্ব হাসান বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ আন্তরিক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহসান হোসেন আলিফ ভালো করে কথা বলতে পারছিল না। সে এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রায় সময় হুমকি দিত। তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
আহত আলিফের পিতা মোশাররফ হোসেন বলেন, মামলার আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়েছে। তারা এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। তারা যে কোন সময় আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।