গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম একটি খেলাপি ঋণগ্রহীতার জামিনদার হওয়ার কারণে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিনে জাহাঙ্গীর আলম এর উপস্থিতিতে কর্মকর্তা এই আদেশ দিলেন।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম এই নির্বাচনে যে সমস্ত কাগজপত্র দাখিল করেছেন তার সবকিছু সঠিক পাওয়া গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য জামিনদার হয়েছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানটি ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হলো।’
এ সময় উপস্থিত জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর আইনজীবী রিটার্নিং কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী জামিনদার কখনো ঋণ খেলাপি হয় না। তাছাড়া খেলাপি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ঋণ পুনঃতফসীলীকরণের জন্য ইতিমধ্যে কিস্তির টাকা জমা দিয়েছে এবং আবেদন করেছেন। আমি একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমি আমার নিজের জমি বন্ধক রেখেছিলাম। আমি ওই টাকা নিজের জন্য নেইনি এবং প্রতিষ্ঠানটি ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে’। তারপরও তাঁর মনোনয়ন বাতিল করাকে তিনি অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আমি কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার পাইনি। আমি এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব, আমি হাইকোর্টে যাব, সুপ্রিম কোর্টে যাব।’
এ সময় তিনি দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন করেন আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যায়বিচার আশা করতে পারি কিনা? আমি তা দেশবাসীর কাছে জানতে চাই।
মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা বিভিন্ন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ এবং নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী অন্যান্য মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী অলিউর রহমান তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে শর্ত অনুযায়ী ৩০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর যথাযথভাবে দাখিল করতে না পারায় তাঁর মনোনয়নও বাতিল করা হয়।