আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম অনেক বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি দামে চিনি আমদানি করবে কিনা, সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চেয়েছে চিনি আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে সংগঠনটির মহাসচিব গোলাম রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনির দাম ৬৭৫ মার্কিন ডলার। অথচ এক মাস আগেও তা ছিল ৫২০ মার্কিন ডলার। এই বাস্তবতায় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা চিনি আমদানিতে এলসি বা ঋণপত্র খুলতে ‘ভীতির সম্মুখীন’ হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ৬৭৫ ডলার দরে প্রতি টন চিনি আমদানি করলে চিনির আমদানি মূল্য পড়ে প্রতি কেজিতে ১৩১ টাকা, যার মধ্যে রয়েছে সরকারের শুল্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাবদ কেজিতে ৩৫ টাকা। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও দেশের বাজারে খোলা চিনির দাম সে অনুপাতে বাড়েনি। এ কারণে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা চিনি আমদানি করতে সাহস পাচ্ছেন না। গত ৪০ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির এ দাম ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করবে কি না সে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন সংগঠনটির সদস্যরা। তাই এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।