সুদানে আটকে পড়া ৬৭৫ বাংলাদেশী মধ্যে ১৩৫ জন বিমানযোগে জেদ্দায় পৌঁছেছেন। সুদানের পোর্ট সুদান থেকে জাহাজ না পাওয়ার কারণে তাদের বিমানে জেদ্দায় নেওয়া হয়। এসব নাগরিক রোববার রাত ১টার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক তারিকুল ইসলাম রোববার জানান, সুদানে আটকে পড়া ৬৭৫ বাংলাদেশির মধ্যে ১৩৫ জনকে বিমানযোগে জেদ্দায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাকিদেরও জাহাজ বা বিমানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
সূত্র জানায়, পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় ফেরার জন্য ৬৭৫ বাংলাদেশি অপেক্ষায় ছিলেন। ট্রাভেল পারমিট ইস্যু ও জাহাজের শিডিউল পেতে দেরি হওয়ার জন্য তারা জেদ্দায় পৌঁছাতে পারছিলেন না। তবে জাহাজ না পাওয়ায় বিমানযোগে ১৩৫ জনকে জেদ্দায় আনা হয়েছে।
অন্যদিকে সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস রোববার জানিয়েছে, যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে ৭০ বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইটে রোববার দুপুরে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। এ সময় এসব বাংলাদেশিকে স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। এ সময় জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সুদান থেকে সৌদি এয়ারফোর্সের একটি ফ্লাইটে ৩৫ জন ও আরেকটি ফ্লাইটে ২৫ জনসহ মোট ৭০ জন বাংলাদেশী জেদ্দা পৌঁছান। আরও প্রায় ৬৫ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে সুদান থেকে আরেকটি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। সুদান থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশি এসব নাগরিক রোববার রাত ১টার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সুদান থেকে প্রথম দফায় নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এসব বাংলাদেশিকে বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আরও প্রায় ৬৫ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে সুদান থেকে আরেকটি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার যে কথা ছিল তা শেষ পর্যন্ত রওয়ানা দিয়ে জেদ্দা পৌঁছেছে।
সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন, এর মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।