চট্টগ্রামে চোরাকারবারে জড়িত এস এ পরিবহনের ৩ কর্মকর্তা কারাগারে

বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ফেব্রিক্স চোরাচালানের মামলায় এস এ পরিবহনের চট্টগ্রামের তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ৭ মে দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া এ আদেশ দেন।
এস এ পরিবহনের ওই তিন কর্মকর্তা হলেন- এস এ পরিবহন খাতুনগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান, কাজীর দেউড়ি শাখার ম্যানেজার আবদুল করিম বাচ্চু ও প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার মোরশেদুল আলম চৌধুরী। এরআগে একই মামলায় ২ এপ্রিল গ্রেফতার হয়ে নজরুল ইসলাম ও দ্বীন ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি জেল হাজতে রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি এস এ পরিবহন কাজীর দেউরী অফিস প্রাঙ্গণ থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাভার্ডভ্যান বোঝাই ৮ দশমিক ৬ টন ফেব্রিক্স খোলা বাজারে বিক্রয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় নগরের কোতোয়ালি থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত ৭ মে অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি নগরের কাজীর দেউড়ী এলাকার এস এ পরিবহনে রাত সাড়ে ৯টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সেখানে থাকা ট্রাকের ভেতর ৩৫৬টি প্যাকেজ (১২৮ টি বস্তা এবং ২২৮ টি রোল) সাদা, সাদা প্রিন্ট, হলুদ, জলপাই, হালকা বেগুনিসহ ৮টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের ৮৬১২ দশমিক ৭৯ কেজি নিট ফেব্রিক্স পাওয়া যায়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, আটক করা পণ্যচালানটির মালিকানা দাবি করেন টেরিবাজারের ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম। পরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নিলামের মাধ্যমে ৩৫৪ রোল ফেব্রিক্স পণ্য কিনে নেয় নজরুল। অথচ যে পণ্যগুলা ট্রাক থেকে আটক করা হয় সেগুলোর গায়ে ২০২২ সালের বিভিন্ন তারিখের স্টিকার পাওয়া যায়।