তৃণমূল থেকে দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে আরো শক্তিশালী করার এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার ৪২ বছর আগে দেশে ফেরা উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার (১৭ মে) গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল থেকে প্রতিটি সংগঠনকে পুনর্গঠন করুন। কারণ, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের কল্যাণের কথা চিন্ত করে। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এবং এই দলটির মাধ্যমেই দেশের প্রতিটি অর্জন এসেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন এবং এটি জনগণের জন্য কাজ করবে, এটাই আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার।
বাকি দলগুলোকে লুটেরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কখনোই জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। তাই সন্ত্রাসী, খুনি বা যুদ্ধাপরাধীদের দল যাতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে-সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে-ভোট চোর ও ডাকাতরা এখন দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছে। এখন আমাদের তাদের (ভোট চোরদের) কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ শুনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল-যারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তন ও ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার মাধ্যমে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা সব সময়ে তাদের পাশে থাকব। আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব। আমরা যেভাবে তাদের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছি, ঠিক তেমনি আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ করে যাব।
তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট মাত্র ২৯টি আসন পায়। অবশিষ্ট আসন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট পায়। এটাই প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে একই-এমন ধারণা ভুল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের এই বিশ্বাস ও আস্থাই আমাদের একমাত্র শক্তি। এটা ছাড়া আমাদের আর কোনো শক্তি নেই।
দেশে ফিরে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিগত ৪২ বছরে দেশ, তথা দল গঠনের প্রচেষ্টায় তাকে সহায়তা করার জন্য দলটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। দেশে ফেরার পর দুঃসময়ে যারা তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং যাদের অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই-প্রধানমন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তাদের কথা স্মরণ করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।’