দই টক হওয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাঙচুর, আহত ১৫

লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দাওয়াতে দই টক হওয়াকে কেন্দ্র করে কনেপক্ষের হামলায় পার্টি সেন্টারের কর্মীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে পার্টি সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী রাকিবুজ্জামান রাকিব বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

এর আগে দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাদী রাকিব পার্টি সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী।

গ্রেপ্তাররা হলেন কনের বাবা খোকন ড্রাইভার ও খালাতো ভাই রুবেল হোসেন। বাকি আসামিদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

আহতরা হলেন মামলার বাদী রাকিব, রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন, বাবুর্চি রাসেল, পরান ও মাজেদসহ পার্টি সেন্টারের ১৫ জন স্টাফ-কর্মী।

পুলিশ জানায়, পৌর শহরের শাহপুর এলাকার বৃষ্টি নামে এক মেয়ের সঙ্গে সদর উপজেলার দালাবাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিনের বিয়ে হয়। সে উপলক্ষে পার্টি সেন্টারটিতে মধ্যাহ্নভোজসহ বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন করা হয়েছে।

প্রথম পর্বের খাওয়াতে একটি ভাড়ে দই টক হয়েছে বলে কনেপক্ষ অভিযোগ করে।

এ নিয়ে কনেপক্ষ তর্কাতর্কি শুরু করে। এতে বাদী রাকিব পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাদের সঙ্গে বরপক্ষও উত্তেজিত হয়ে উঠে। উভয়পক্ষ পার্টি সেন্টারের কর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে পার্টি সেন্টারের অন্তত ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, একটি মাত্র ভাড়ে দই টক হওয়ায় বর ও কনেপক্ষে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করেছে। এতে আমিসহ আমার কর্মীরা আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছি।

তবে এ বিষয়ে বর ও কনেপক্ষের কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পার্টি সেন্টারের হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়। পরে পার্টি সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী রাকিবের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।