কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গলাকেটে খুন

কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেখাচরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৮ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক সদর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন এনামুল হক। এ সময় স্থানীয় কাজী জহিরুল ইসলাম, তার ভাই কাজী আমানুল ইসলাম ও সাইদ এলোপাথাড়িভাবে এনামুলের গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যায়। বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল হক মারা যান।

কুমিল্লা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, ‘আওয়ামী লীগের কর্মী এনামুলের সঙ্গে কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে কাজী জহির গং মাদ্রাসাটি দখলের চেষ্টা করছিল। এছাড়া, গতকাল কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। যার জন্য, এনামুলকে দায়ী করা হয়। এতে কাজী জহির গং ক্ষুব্ধ হয়ে এনামুলকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান।’

ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান বলেন, ‘হত্যাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’