প্রতিবেদনে ডব্লিউএমও জানিয়েছে, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঘটেছে।
ডব্লিউএমও এর প্রধান পেটেরি তালাস বলেন, ‘সবচেয়ে অরক্ষিত জনগোষ্ঠীগুলোই চরম আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে।’ এ সময় তিনি সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে সংঘটিত মোখার কথা তুলে ধরেন।
২০২১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডব্লিউএমও জানিয়েছিল, ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুরুর বছরগুলোতে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারা যেত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে। তবে ২০১০ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা কমে নেমে আসে বছরে গড়ে ২০ হাজার জনে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২০ সাল এবং ২০২১ সালে দুই বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোট ২২ হাজার ৬০৮ জন মারা গেছেন। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে তেমনি বেড়েছে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও।
ডব্লিউএমও এর দেয়া হিসাব অনুসারে, ১৯৭০ এর দশকে প্রতিদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তার বিপরীতকে ২০২০ এর দশকে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন ৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। সামগ্রিকভাবে বিগত ৫১ বছরে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মোট চার লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার।
মৃত্যু কমলেও আবহাওয়া-সম্পর্কিত দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএমও।