কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী গোল চত্বরে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের কারণে চট্টগ্রাম, কুতুবদিয়া,চকরিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালী ও কক্সবাজার অভিমুখের যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। চৌমুহনী পার হতে প্রায় প্রতিটি যানবাহনেরই বেশ সময় লাগছে।
সরেজমিন দেখা যায়, চৌমুহনী গোল চত্বরে ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম ছাড়াও মহেশখালী, বাঁশখালী ও কক্সবাজার জেলার পেকুয়া ও চকরিয়ার যানবাহন চলাচল করে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটি শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার যানবাহনও চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে।
চৌমুহনী গোল চত্বরে সামনে, ক্রেমলিন মার্কেট ও দিদার মার্কেটের সামনে, আরকার সড়কে ও চট্টগ্রাম শহরের দিকে চলে যাওয়ার অংশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে। এ কারণে কোনো ভাবে যানজট কমে না। ফলে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে।
আজ সকাল ১০টার দিকে চৌমুহনী চত্বরে দেখা যায়, চারপাশের যানবাহন আটকে আছে সড়কে। কোনো গাড়িই চলাচল করতে পারছে না। আধঘণ্টা পর ধীরে ধীরে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, এমনিতে আরকান সড়কের চৌমুহনী থেকে পেকুয়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশে সড়ক সংস্কারের কারণে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হয়; তার ওপর চৌমুহনী চত্বরে নিয়মিত যানজটের কারণে সড়কে প্রতিদিনই অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে।
তাঁরা বলেন,চৌমুহনী গোল চত্বরে ওপর অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড হওয়ায় সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এতে চারপাশ থেকে আসা যানবাহন আটকে পড়ে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নুরুল আলম বলেন, সারাক্ষণ সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে সড়কের ওপর। এতে করে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়।
পেকুয়া সদরের বাসিন্দা অপু বলেন , ‘আমি শহর থেকে যাওয়া-আসা করে চাকরি করি। কিন্তু প্রতিদিনই যানজটে নাকাল হচ্ছি।’
এ বিষয়ে চৌমুহনী মিনিবাসের রাইজম্যান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি চৌমুহনী গোল চত্বরের যানজট নিরসনে ও গোল চত্বরে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স বসানোর জন্য । তবে গাড়ি বেড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা সমাধানে কষ্ট হয়।’