কর্ণফুলী গ্যাসের সিবিএ নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিশন লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর সিবিএ নেতা আবু জাবের খতিবের এক আত্বীয়ের বাড়িতে ৭টি আবাসিক চুলার অনুমোদন নিয়ে বাণিজিক কাজে ব্যবহার এবং ৭টির স্থলে আরও ৮টিসহ মোট ১৬টি চুলা বসানোর তথ্য পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার নগরীর চকবাজারস্থ আয়মন সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্ণফুলী গ্যাস অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আয়মন স্টোরের মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল কর্ণফলী গ্যাসের সিবিএ নেতা আবু জাবের খতিবের ভাই এর শ্বশুড় বাড়ির আত্বীয় বলে সূত্রে জানায়। অভিযান পরিচালনা করার সময় আয়মন সেন্টারের মালিক ও দোকানের কর্মচারীরা সিবিএ নেতা আবু জাবের খতিবকে ফোন করে অভিযানের বিষয়টি জানান, এসময় তারা অবৈধ সংযোগ দেয়ার বিষয়টি সিবিএ নেতা আবু জাবের খতিবকে অভিহিত করা হয়েছে তার বিনিময়ে প্রতিমাসে সিবিএ নেতার মাধ্যমে ১০/১৫ বছর ধরে মাসিক টাকা নিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযানের সময় ছিলেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিশন লিমিটেড এর উপ ব্যবস্থাপক (বিক্রয় জোন-৩) প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, বিক্রয় জোন-১ এর উপ ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন সরকার, অভিযান টিমের সদস্য প্রকৌশলী পলাশ সরকার, শহিদুল করিম তারেক, মো. ফারুক আহমেদসহ কর্ণফুলী গ্যাসের অভিযান টিমের সদস্যরা। চকবাজার আয়মন সেন্টারের মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল স্থানীয়রা জানান গ্যাস সংযোগ দেয়ার পর থেকে সিবিএ নেতা আবু জাবের খতিবের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তারা একে অপরের আত্বীয় স্বজন বলে স্বীকার করেন। উক্ত চুলার কমাশিয়াল হিসেবে বিল আসার কথা ছিল প্রায় ১০/১২ লাখ টাকা সেখানে আবাসিক হিসেবে মাত্র ৭টি চুলা দেখিয়ে ৭/৮ হাজার টাকা বিল দিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিবিএ নেতা আবু জাবের খতিব বলেন, অভিযানের সময় তারা আমাকে ফোন করছিল, আমি অন্যায়কে কখনো সমর্থন করি না করবও না, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে আমার অজান্তে কেউ কিছু করার থাকলে আমার করার কি আছে তবে তারা আমার আত্বীয় এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিক্রয় উপ ব্যবস্থাপক অনুপম দত্ত বলেন, অবৈধ সংযোগ বিরোধী অভিযান এটা নিয়মিত অভিযানের অংশ তবে অবৈধ সংযোগের সাথে আমাদের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।