টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মনিরা খাতুন (২৯) নামে এক স্কুলশিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী রেদোয়ানুল ইসলাম পারভেজকে (৩৫) পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় মনিরাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। অভিযোগ অস্বীকার করে পারভেজের পরিবার বলছে মনিরা আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ধানবাড়ী পৌর শহরের আমবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী মনিরা ও এক কন্যা সন্তানসহ আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। মনিরা একটি স্কুলের শিক্ষিকা। গত রাতে ওই বাড়ি থেকে মনিরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধনবাড়ী থানায় নেওয়া হয়।
নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম ও ভগ্নিপতি শাহাদত হোসেন আলাল জানান, ধনবাড়ী হাসপাতালের তানিয়া আক্তার নামের এক মেডিকেল এসিস্ট্যান্টের সঙ্গে পারভেজ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। পারভেজ শারীরিকভাবে অত্যাচার করতো মনিরাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আবারও ঝগড়া হলে মনিরাকে হত্যা করেন ভারভেজ। পরে সাবার কাছে প্রচার করেন মনিরা আত্মহত্যা করেছে। বাসা থেকে মনিরার লাশ একাই হাসপাতালে নিয়ে যান পারভেজ।
নিহতের মামা ইকাবাল হোসেন জুপিটার বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্ত না করতে পারভেজের পরিবার রাজনৈতিক চাপ দিচ্ছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।’
পারভেজের চাচা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘মনিরা আত্মহত্যা করেছে। হত্যা করা হয়নি। আমাদের চাপের মুখে রাখতে মিথ্যা প্রচার করছে মনিরার পরিবার।’
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’