চট্টগ্রাম বিআরটিএ-তে দেড় শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ

 

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় দেড় শতাধিক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ত্র্যাপকরণ করেছে। শুক্রবার সকাল থেকে হালিশহরস্থ বিআরটিএ ,চট্টমেট্রো-১ সার্কেলে এসব গাড়ি স্ক্র্যাপকরণ করা হয়। কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই এসব অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করতে পারাই খুশি মালিক ও চালক দু’পক্ষই।

বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, গত মঙ্গলবার পত্রিকায় ২০০১, ২০০২, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তৈরিকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ফলে সিএনজি মালিকরা এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি স্ক্র্যাপকরণের জন্য বিআরটিএ’ কার্যালয়ে তালিকাভুক্ত করেন

গত ৪-৫ বছর ধরে এসব সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলো মালিকরা চিন্তিত ছিলেন। এসব সিএনজিগুলো স্ক্র্যাপকরণের কারণে এখন তারা রিপ্লেমেন্ট নম্বর দিয়ে নতুন সিএনজি চালিত অটোরি´া নিতে পারবেন। ফলে মালিকদের পরিবারে নতুন আয়ের পথ উম্মুক্ত হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার করে ২৬ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। এই সব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর। পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। যে কারণে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশা ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম মারুফ জানান, আমি চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয় থেকে চারটি সিএনজি স্ক্র্যাপ করেছি। প্রথমে দালাল চেয়েছিল টাকা। কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। রকারি নিয়ম-নির্দেশনা মেনেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করেছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ। এখন স্ক্র্যাপকৃত এসব অটোরিকশা মালিকদের অনুকূলে নতুন কেনা গাড়ির নিবন্ধন দিবে চট্টগ্রাম বিআরটিএ। যার ফলে গাড়ির মালিকদের পোহাতে হয়নি কোনরকম ঝামেলা। নির্বাচনের আগে সরকার সিএনজি অটোরিক্সা চালকের যে উপকার করেছে তাতে আমরা অনেক খুশি।

এ বিষয়ে বিআরটিএর চট্টমেট্রো সার্কেলের উপ-পরিচালক তৌহিদুল হোসেন বলেন, বিআরটিএ সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপ করণ কার্যক্রমের আহবায়ক উপ-পরিচালক মহোদয় তারিখ ভিক্তিতে গাড়ির নম্বর উল্লেখ করে চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। কোন সমস্যা ছাড়াই সিএনজিগুলো স্ক্র্যাপ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শফিকুজামান ভুঞা বলেন, নিয়ম মেনেই চট্টগ্রামের অটোরিকশাগুলো পর্যায়ক্রমে স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। কেউ যাতে ভোগান্তির মধ্যে না পড়েন সেজন্য নিয়ম মেনে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতেই স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। এতে কোনো অনিয়ম বা ভোগান্তি সযোগ নেই। এখন নতুন রিপ্লেসমেন্ট নতুন নম্বর দেয়া হবে।