নিপুণ রায়কে তিন মাসের আগাম জামিন

কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার হাসপাতালের বেড থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজির হয়ে আবেদন জানালে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ তাকে তিন মাসের আগাম জামিন দেন। তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।

এর আগে সকালে ব্যান্ডেজ মাথায় বাঁধা অবস্থায় হাইকোর্টে হাজির হন নিপুণ রায় চৌধুরী। রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় হাসপাতাল থেকে সরাসরি হাইকোর্টে এসেছেন নিপুণ।

গত শনিবার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির ১০৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ‘অনেক’ আসামি রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন জিঞ্জিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এস এম সুমন। মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুন্সি আসিকুর রহমান বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন কাইয়ুম, মাহবুব, আহসান হাবিব, কবির, সেলিম, জাকির, আসিক, নবাব আলী ও সোবহান। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, শুক্রবার সকালে বিএনপি নেত্রী নিপুণের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার জিঞ্জিরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশ করে ঢাকা জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

কর্মসূচি চলার একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটের আঘাতে নিপুণ রায়ের মাথা ফেটে যায়।

এ ছাড়াও বিএনপি কর্মীরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করে। সংঘর্ষে দুপক্ষের ৩০ জন আহত হন।