জাহাজভাঙা শিল্প নিরাপদ করতে মতবিনিময়

 

ডেনমার্কের পরিবেশবিদ ও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক নেবশ সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি সেভেন্ড বোস ওভারগার্ডের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের কর্মকর্তাগণ ও জাহাজভাঙা শিল্পের মালিকেরা।

মতবিনিময় সভায় জাহাজভাঙা শিল্পের পরিবেশগত নানাদিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। একইসাথে হংকং কনভেনশন অনুসারে গ্রীন শিপইয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতে এবং পরিবেশগত ইস্যু প্রতিপালনে দায়িত্বশীল হওয়ার ব্যাপারে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর ভবনের হালদা হলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরিনের সভাপতিত্বে এতে কী-নোট স্পীকার ছিলেন ডেনমার্কের পরিবেশবিদ সেভেন্ড বোস ওভারগার্ড।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, গবেষণাগারের উপ-পরিচালক কামরুল হাসান, অঞ্চল ও মহানগর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

জাহাজভাঙা শিল্প মালিকদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের কর্ণধার মো. তসলিম উদ্দিন, এসএন কর্পোরেশনের প্রতিনিধি বরকত উল্লাহ, জনতা স্টিলের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি হুসাইনুল আরেফিন। এছাড়া মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ডেনমার্কের পরিবেশবিদদের দলের সদস্য ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় ডেনমার্কের পরিবেশবিদ সেভেন্ড বোস ওভারগার্ড জাহাজভাঙা শিল্পের নানাদিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এসময় তিনি একটি পুরোনো স্ক্র্যাপ জাহাজ বাংলাদেশে আমদানির পর কি কি উপায়ে সেটি কাটতে হবে, একটি জাহাজে কী পরিমাণ বিপদজনক জিনিস থাকতে পারে তা তুলে ধরেন। একইসাথে পরিবেশসম্মতভাবে একটি জাহাজকে কেটে কীভাবে কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং জাহাজ কাটার ক্ষেত্রে হংকং কনভেনশন অনুসারে কী কী শর্ত অনুসরণ ও প্রতিপালন করতে হবে, তাও তুলে ধরেন। শেষে তিনি জাহাজভাঙা শিল্পে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা ও এ শিল্পে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথাও আলোচনা করেন।

মতবিনিময় সভায় জাহাজভাঙা শিল্পের মালিক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জাহাজভাঙা শিল্পে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার ও পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলতে সতর্ক থাকার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।