সোনালী ডেস্ক : ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ দেশে আসার পর পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে পাইকারিতে কাঁচা মরিচের দাম নেমে এসেছে ২০০ টাকার নিচে। আর খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচের কেজি আড়াইশ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, যা দুইদিন আগে উঠেছিল ৬০০ টাকায়।
আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকালে বিভিন্ন বাজারে বেশিরভাগ খুচরা ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি করছেন ৬০ টাকা। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী এখনো এক পোয়া কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছেন। এছাড়া পাইকারিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি।
সম্প্রতি হুট করেই দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে কাঁচা মরিচের দাম। অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ জুন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেদিন কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সারাদিনে (২৫ জুন) ৩০টি আইপি-তে ১১ হাজার ৬০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে ২৬ জুন দেশের বাজারগুলোতে কেজিতে কাঁচামরিচের দাম ১০০ টাকা বেড়ে যায়। ২৫ জুন কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছুঁয়েছিল। ২৬ জুন তা আরও বেড়ে ৪০০ টাকা হয়।
ঈদের পর কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার পালে আর এক দফা হাওয়া লাগে। গত শনিবার বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা বিক্রি হয়। তবে আমদানি করা কাঁচা মরিচ দেশে আসার পর গতকাল সকালে দাম কিছুটা কমে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
এ পরিস্থিতিতে বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদের ছুটির পর রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৫ টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে। রাতে আরও আসবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশে এসেছে মোট ৯৩ টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এই তথ্য প্রকাশের পর সন্ধ্যার আগেই কাঁচা মরিচের দাম কমে কেজি ৩০০ টাকায় চলে আসে। আর আজ সোমবার সকাল হতেই কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকার নিচে চলে আসলো।
কাঁচা মরিচের দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে যায়। এ কারণে দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। এখন আমদানি করা কাঁচা মরিচ বাজারে চলে এসেছে। এ কারণে দাম কমেছে। আমদানি করা কাঁচা মরিচ আসার পর গতকাল থেকেই দাম কমতির দিকেঅ দুইদিন আগে কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন তা দুইশ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা কাঁচা মরিচ আসতে থাকলে দাম আরও একটু কমতে পারে।