আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে শুরু হয়েছে। দুই দিনের এই সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা জোরদারের বিষয়টি। তবে সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে তেমন কোনো সবুজ সংকেত নেই। এতেই বিস্মিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সদস্য হওয়ার বিষয়ে এই সম্মেলন থেকে আপাতত ‘ইতিবাচক বার্তা’ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ইউক্রেনকে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ। যদিও সদস্যপদের বিষয়ে সম্মেলন থেকে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষিত না হওয়াকে ‘অযৌক্তিক’ মনে করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর বিবিসির
জেলেনস্কি বলেন, ‘কার্যত মনে হচ্ছে ইউক্রেনকে জোটে আমন্ত্রণ জানানো বা সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রস্তুতিই নেই।’
ন্যাটো ২০০৮ সালে বুখারেস্টের শীর্ষ বৈঠকে ইউক্রেনকে জোটের সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু কখন এবং কীভাবে সেটা হবে, সে বিষয়ে নেটো কিছুই বলেনি। জেলেনস্কি বলেন, ‘এখন ভিলনিয়াসে সম্মেলন শুরুর আগে আমরা এমন ইঙ্গিত পাচ্ছি যে ইউক্রেনের উপস্থিতি ছাড়াই তারা এ ব্যাপারে কিছু বয়ান নিয়ে আলোচনা করছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ‘এই বয়ান ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ নিয়ে, ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে নয়। অনিশ্চয়তা একটা দুর্বলতার লক্ষণ। শীর্ষ বৈঠকে আমি এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলব।’
লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে গুরুত্বপূর্ণ এক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন ন্যাটো সামরিক জোটের নেতৃবৃন্দ। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি এবং পশ্চিমা এই জোটের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারিত হতে পারে।