চট্টগ্রাম : প্রতীক পেয়েই জোরদার প্রচারণায় নেমে পড়েছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। তবে প্রতীক পেলেও বাকি চার প্রার্থীকে প্রথমদিনের প্রচারণার মাঠে দেখা যায়নি।
প্রতীক বরাদ্দের পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নগরীর বাদুরতলায় জঙ্গীশাহ মাজার জিয়ারত করেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। এরপর নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে তিনি প্রচারণায় নামেন। শুরুতে তিনি শুলকবহর ওয়ার্ডে ট্রাকে ঘুরে ঘুরে জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি নৌকায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এসময় কয়েকটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তার মর্যাদা রক্ষায় সকলের ভালোবাসা ও আস্থা চাই। দেশ ও জাতির শুভযাত্রায় সারথী হতে পেরে গর্বিত। যদি আপনাদের আস্থা ও ভালবাসা পাই এবং নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে পূর্বসূরীদের মতোই আপনাদের পাশে থাকব।’
পথসভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘নৌকার প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছি। নৌকা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে, এই জনগণ কখনো অশুভ শক্তিকে গ্রহণ করেনি। এই নৌকা আমাদের সমস্ত সাফল্য ও অর্জনের বাহন। আপনারা ৩০ জুলাই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করুন, এদেশে গণতন্ত্র আছে, ভোটাধিকার আছে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে নৌকার জয়যাত্রা বাঙালিকে আবারও জাগিয়ে তুলবে। কোনো বিদেশি মুরুব্বির নির্দেশনায় আমরা চলি না।’
সন্ধ্যার পর নগরী উত্তর আগ্রাবাদে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। এসময় উপস্থিত ছিলেন— নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দফতর ও প্রচার সেলের সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম ফারুক।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর জুবিলী রোডে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপনির্বাচনের পাঁচ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা, জাতীয় পার্টির মো. সামশুল আলম লাঙ্গল, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের রশিদ মিয়া ছড়ি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া রকেট প্রতীক পেয়েছেন।
৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, হালিশহর, খুলশী) আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছে।