চট্টগ্রামে ফসল হারিয়ে লক্ষাধিক কৃষকের মাথায় হাত

চট্টগ্রাম : বন্যায় চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কপাল পুড়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৮৩১ কৃষকের। এতে ১৮৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, বন্যায় ৪২ হাজার ১৯০ কৃষকের দুই হাজার ১৭৩ দশমিক ১ হেক্টর আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৯ হাজার ২৪৭ কৃষকের তিন হাজার ৪৪৮ দশমিক ৯৫ হেক্টর আমনের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩২ হাজার ৪৯৫ কৃষকের দুই হাজার ৮৯৮ দশমিক ১৫ হেক্টর জমির শাকসবজি নষ্ট হয়েছে। ১১ হাজার ১০৮ কৃষকের দুই হাজার ৭২৫ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। ৫০২ কৃষকের ২৭ হেক্টর জমির পানের বরজ ও ২৮৯ কৃষকের ৫৫ হেক্টর জমির পেঁপে এবং তরমুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুচ ছোবহান বলেন, ‘সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় জেলার ১৪ উপজেলায় কমবেশি চাষাবাদ ও শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৮৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলার কৃষকরা। এসব স্থানে বন্যার পানি কয়েকদিন স্থায়ী থাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ফসল পচে গেছে।’

ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে উপপরিচালক আবদুচ ছোবহান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কৃষকদের জন্য কোনও সহায়তা আসেনি। সংশ্লিষ্ট সব দফতর থেকে সহায়তা এলে, তা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’

কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আমন ও সবজির বীজ বিনামূল্যে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বীজ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তবে এখনও কোনও সহায়তা আসেনি। সহায়তা এলে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’