দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনা করে বহুল আলোচিত সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে পেনশন সুবিধা দিতে চায় সরকার। এর অংশ হিসেবে চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষ পেনশন পেতে যাচ্ছেন।
চারটি ভিন্ন শ্রেণির লোকদের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে চার ধরনের স্কিম চালু করা হবে। এগুলোর নাম ‘প্রগতি’ ‘সুরক্ষা’, ‘সমতা’ ও ‘প্রবাসী’। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্ব-কর্মে নিযুক্ত লোকদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা প্রযোজ্য হবে।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী লোকেরা এর আওতায় আসবে যখন তারা ৬০ বছর পরে পেনশন পেতে শুরু করবে। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তবে এখন ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের পেনশন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টানা ১০ বছর প্রিমিয়াম দেওয়ার পরে তারা পেনশন সুবিধা পাবেন।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট এই বিধিমালা চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে চার শ্রেণিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাকরিজীবীদের জন্য চারটি পৃথক স্কিম রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিধিমালায় মোট ১৮টি ধারা রাখা হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। আজীবন বলতে পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে।