পাকিস্তানের একটি আদালত সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা এই তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্লার্টফর্মে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা বলে, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোয়েটার দক্ষিণাঞ্চলের একজন আইনজীবীকে হত্যার অভিযোগ একটি আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
জুনে এই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হন ইমরান খান। ২০২২ এর এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আপাতত তোশাখানা মামলায় কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কারণে ইমরানকে এমন ভাগ্য বরণ করতে হচ্ছে।
আজ সোমবার অপর একটি দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্থগিত রাখার আবেদনের রায় দেবে ইসলামাবাদের হাই কোর্ট।
সম্প্রতি কারাগারে ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি বলেন, তার স্বামীকে অ্যাটক জেলা কারাগারে বিষ দেওয়ার আশঙ্কা আছে।
চিঠিতে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রসচিবকে বুশরা বিবি বলেন, ইমরান খানকে অ্যাটক জেল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে স্থানান্তর করা হোক।
বুশরা বিবির মতে, ইমরান খান যখন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তার জীবন হুমকির মধ্যে ছিল। ওই সময় তার ওপর দু’বার আক্রমণ করা হয়। এমনকি তার ওপর বন্দুক হামলাও করা হয়েছিল।
বুশরা বিবির অনুরোধ করে বলেন, কারাগারে ইমরান খান যেন দ্বিতীয় শ্রেণীর সুযোগ-সুবিধার আওতায় বাড়িতে রান্না করা খাবার পান এবং তার ব্যক্তিগত চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করার সুযোগ পান।