দেশে নেমেই আপ্লুত তিশা

সপ্তাহ খানেক আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান ভ্রমণে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উদ্দেশ্য- বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়া। সেখানে তাদের ছবি ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ প্রদর্শিত হয়েছে। পেয়েছে প্রশংসাও। তবে পুরস্কার অব্দি পৌঁছাতে পারেনি।

তিশা যখন বুসানের দর্শকের সঙ্গে নিজের ভাবনার বিনিময় করছিলেন, তাদের চোখে নিজের অভিনয়ের প্রতিক্রিয়া পরখ করছিলেন, তখন দেশেও তার বন্দনা চলছে হরদম। কেননা গত ১৩ অক্টোবর দেশের প্রায় সবগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। যেখানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের (রেনু) ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিশা। আর সেই চরিত্রে রীতিমতো মুগ্ধ করেছেন তিনি।

ফলত তিশা বরাবর প্রতিক্রিয়া, প্রশংসার বাক্য পাঠাচ্ছেন দর্শক-সমালোচকরা। কিন্তু দেশের বাইরে থাকার কারণে সেগুলোতে নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি। রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে দেশে ফিরেই তাই অবাক হয়েছেন, আপ্লুত হয়েছেন। জানালেন প্রতিক্রিয়া।

তিশা বললেন, ‘মাত্র দেশে আসলাম। ফোন অন করে সবার এতো এতো ম্যাসেজ দেখে মন ভরে গেল। আমার অভিনয় যদি আপনাদের এতোটুকুও ইমোশনাল করে থাকে, তাহলে আমি কৃতজ্ঞ। ছবিটা করার সময় অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে সবাইকে! আমরা পরিশ্রমটা করি আপনাদের কাছ থেকে এই প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য!’

শেষে ‘মুজিব’ দেখার আহ্বান জানিয়ে পর্দার রেণু বলেছেন, “শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব’ চলছে আপনার কাছের হলে। সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ। লাভ ইউ অল!’

বলা প্রয়োজন, ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ এবং তার স্ত্রী রেনুর ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও বড়বেলার ভূমিকায় আছেন তিশা। দর্শক-সমালোচকদের সিংহভাগের মন্তব্য অনুসারে, পুরো ছবিটি বঙ্গবন্ধু ও রেনু চরিত্রে শুভ-তিশাই টেনে নিয়েছেন। তাদের সাবলীল, দক্ষ অভিনয় ছবিটিকে দর্শকের হৃদয়ে পৌঁছে দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বুসান উৎসবের জিসোক বিভাগে নির্বাচিত হয়েছিল ফারুকী নির্মিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। এতে অভিনয়ও করেছেন ফারুকী ও তিশা।

এছাড়া উৎসবের ২৮তম এই আসরের নিউ কারেন্টস বিভাগে অংশ নিয়ে সেরার পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশি ছবি ‘বলী’ (দ্য রেসলার)। এটি নির্মাণ করেছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী। পুরস্কার হিসেবে তাকে ৩০ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম বুসান উৎসবে বাংলাদেশের কোনও ছবি সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে।