পুরুষ জলহস্তীর নাম ‘লালপাহাড়’। চিড়িয়াখানায় একা থাকার মাস শেষের পূর্বেই সঙ্গী পেল জলপরীকে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণিবহরে নতুন যুক্ত হওয়া নতুন জলহস্তী। ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোর ৫টায় চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে লালপাহাড়ের সঙ্গী ‘জলপরী’। লালপাহাড়কে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছিল গত ২১ সেপ্টেম্বর।
‘প্রাণি বিনিময়’ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রংপুর চিড়িয়াখানায় এক জোড়া বাঘের বিনিময়ে জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এই জলহস্তী দম্পতিকে পেয়েছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. সাহাদাত হোসেন শুভ বলেছেন, লালপাহাড়ের বয়স ১২ বছর। তার সঙ্গী স্ত্রী জলহস্তী জলপরীর বয়স ৯ বছর এবং ওজন ৯০০ কেজি।
‘আমরা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে দুই বছর বয়সী এক জোড়া বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানাকে দিয়ে বিনিময়ে ঢাকা েেক একজোড়া জলহস্তী পেয়েছি। ঢাকা ও রংপুর চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। সেজন্য আমরা রংপুরকে বাঘ দিলেও মন্ত্রণালয় ঢাকা থেকে আমাদের জন্য জলহস্তীর ব্যবস্থা করেছে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের শেষদিকে মন্ত্রণালয়ের কাছে জলহস্তী চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রহমান। এ প্রক্রিয়া অগ্রসর না হওয়ায় ২০২২ সালের ২২ আগস্ট আবারও চিঠি দেওয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বিনিময় হিসেবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা েেক রংপুরের জন্য এক জোড়া বাঘ এবং ঢাকার জন্য এক জোড়া সাম্বার হরিণ ও এক জোড়া ইন্দোনেশিয়ান আয়াম সিয়ামি মোরগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি রংপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ পাঠানো এবং জাতীয় চিড়িয়াখানা েেক জলহস্তী চট্টগ্রামে আনার যাবতীয় ব্যয়ভার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কাছে বহন করার শর্ত দেওয়া হয়।
গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ রংপুরে বাঘ পাঠানো এবং ঢাকা থেকে জলহস্তী আনার ব্যয়ভার বহন করার শর্ত মেনে নিয়ে চিঠি দেয়। অন্য প্রাণিগুলো চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত না থাকায় সেগুলো প্রজনন সাপেক্ষে পরবর্তী দেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয় ওই চিঠিতে। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জলহস্তী দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় মন্ত্রণালয়।
এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণিকূলে প্রথমবারের মতো ঠাঁই পেল জলহস্তী যুগলদ্বয়।