পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস

ওয়ানডেতে সাতবারের দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়-শূন্য ছিল আফগানিস্তান। কিছুতেই যেন পাক ধাঁধার সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলো না আফগানরা। অবশেষে সেই রহস্যের সমাধান দিলেন নূর আহমেদ! ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের ঘূর্ণিতে পাকিস্তানকে নাগালেই রেখেছিল আফগানরা। বাকি কাজটা সেরেছেন ব্যাটাররা। সবমিলিয়ে দুই বিভাগেই লেটার মার্ক তুললো আফগানিস্তান। তাতে ধরা দিল অধরা সেই জয়। সেটাও আবার বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান তুলে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে বাবরের ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের হয়ে ৪৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার নূর আহমেদ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। যেখানে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ইব্রাহিম জাদরান।

২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরু পায় আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান তুলে আফগানিস্তান। ৬৫ রান করে গুরবাজ ফিরলে ভাঙে ১৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।

গুরবাজ ফিফটি করে ফিরলেও আরেক ওপেনার ইব্রাহিম হাঁছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তার দুর্দান্ত ইনিংসের শেষটা হয়েছে হতাশায়! সেঞ্চুরির থেকে ১১ রান দূরে থাকতে ফিরেছেন সাজঘরে। সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপটা তার নিশ্চয়ই আছে!

তিনে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন রহমত শাহ। হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটি। এই দুইজনই দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। রহমতের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৭৭ রান।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক। এই দুইজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলে ভারত। ১৭ রান করে ইমাম ফিরলে ভাঙে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি।

এরপর তিনে নেমে দলের হাল ধরেন বাবর। ফিফটি পেয়েছেন এই দুই ব্যাটারই। ৫৮ রান করে ফিরেছেন শফিক। আর বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৪ রান। তবে এই দুইজন ফেরার পর খানিকটা হলেও পথ হারায় দল। ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সউদ শাকিলরা।

তবে শেষের দিকে ইফতিখার আহমেদ-শাদাব খানের জুটিতে আবারও নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। ইফতিখার ও শাদাব সমান ৪০ রান করে করেছেন। তাদের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় পাকিস্তান।