বিষাক্ত মদ পান করে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ১৯ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসীরা মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে। শনিবার এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
এরপর ভারতীয় পুলিশ এক কংগ্রেস নেতার ছেলে এবং জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) নেতা-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। হরিয়ানার যমুনানগরের মান্দেবাড়ি, পাঞ্জেতো কা মাজরা, ফুসগড় ও সারান গ্রামে এবং পার্শ্ববর্তী আম্বালা জেলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এ মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির মনোহর লাল খট্টর সরকারের নিন্দা করেছে। তাদের অভিযোগ, হরিয়ানা রাজ্য সরকার অতীতের একই ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই ঘটনায় মৃত এক বৃদ্ধের পুত্র রবিন্দর বলেছেন, ‘‘গত রাতে মদ্যপান করে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। উনি মাদকাসক্ত ছিলেন। কিন্তু কম পরিমাণে মদ্যপান করতেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। এরপর অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় তারাও মারা গিয়েছেন।’
পুলিশ এ পর্যন্ত সাত সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে এবং আরও অভিযান চালাচ্ছে। তবে গ্রামের মানুষ প্রাণের ভয়ে এই মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন।
একজন গ্রামবাসী বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি। আমরা যদি আমাদের আওয়াজ তুলি তাহলে আমাদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।’
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দুই অভিবাসী শ্রমিক বৃহস্পতিবার আম্বালা জেলায় অবৈধভাবে তৈরি সন্দেহজনক নকল মদ খাওয়ার পরে মারা গেছেন।
আম্বালা পুলিশ একটি পরিত্যক্ত কারখানায় তৈরি ২০০ ক্রেট জাল মদ বাজেয়াপ্ত করেছে এবং গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনদের যমুনানগরে পাঠিয়েছে তারা। তারা ১৪টি খালি ড্রাম এবং অবৈধ মদ তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণগুলো জব্দ করেছে। পুলিশ এই মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে।