সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ১৬ আসনের মধ্যে পাঁচটিতে নতুন এবং বাকি ১১টিতে বর্তমান সাংসদদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী ঘোষণার পরপরই আসনগুলোর এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুবুর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ আসনে এম এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে এম এ সালাম, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৭ আসনে এবিএম ফজলে করিম, চট্টগ্রাম-৮ আসনে নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
মাহবুবুর রহমান
চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মাহবুবুর রহমান হলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সন্তান। বাবার আসনে ছেলেকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। এর আগে মোশাররফ হোসেন ছেলের হয়ে নিজেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে পিতৃ বিবেচনায় সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন তার ছেলে মাহবুবুর রহমান।
আসনটিতে মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, মিরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন। এছাড়া মহাজোটের শরীক দল সাম্যবাদী দলের হয়ে সেখানে লড়তে চাইছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
খাদিজাতুল আনোয়ার সনি
ফটিকছড়িতে মনোনয়ন দৌঁড়ে ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন মুহুরীসহ অনেকে। সবাইকে ‘টেক্কা’ দিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি কন্যা খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
১৯৯৬, ২০০১ সালে পরপর দুবার ফটিকছড়ির সাংসদ ছিলেন প্রয়াত রফিকুল আনোয়ার। তাঁর মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। ১৯’সালে সংরক্ষিত আসনের এমপি হয়ে প্রথম সংসদে বসেন। এছাড়াও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি।
মাহফুজুর রহমান মিতা
বঙ্গোপোসাগর বেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। ২০০৯ সালে মনোনয়ন না পেলেও পরের দুই সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মিতা। সাগর দ্বীপে নৌকার পাল ওড়াতে তার সঙ্গে আঁটসাঁটভাবে নেমেছিলেন উত্তর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান।
মাঠে ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্লাহ টিটু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ডা. জামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে এম বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিবুল আহসান সুমন, মা সাবেক সাংসদ এম ওবায়দুল হকের সন্তান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সরওয়ার জাহান জামিল শামিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমানা নাসরিন রুমু এবং ইউছুপ আলি জীবন।
এস এম আল মামুন
সীতাকুণ্ডে রাজনৈতিক কারণে শক্ত বলয় ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুন। আসনটিতে এবার দিদারুলকে হটিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নিলেন সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। তার সঙ্গে অন্যান্য যারা মনোনয়ন দৌঁড়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, চসিক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, রত্নেন্দু ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ পারভেজ উদ্দিন, মহি উদ্দিন, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী এবং চৌধুরী মোহম্মদ জিন্নাত আলী।
নোমান আল মাহমুদ
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন নোমান আল মাহমুদ। মনোনয়ন চেয়েছিলেন— চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম চৌধুরী চৌধুরী বাবুল, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গনি চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সদস্য মো. রাশেদুল ইসলাম, উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. শামীম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মনজুরুল আলম চৌধুরী এবং উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত।
ফজলে করিম চৌধুরী
টানা চারবারের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী। রেলপথ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ সরকারি নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রীর হওয়ার হিসেব নিকেশেও রাখা হয়েছিল তাকে। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে তাকেও। অনেকটা একক প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করলেও শেষ পর্যন্ত নৌকার টিকিট কেটেছেন ৯ জন। সব বাধা ডিঙিয়ে টিকিট উঠেছে ফজলে করিম চৌধুরীর হাতেই।
ফজলে করিম চৌধুরীর সঙ্গে মনোনয়ন দৌঁড়ে ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেবাশীষ পালিত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুসলিম খান, মোহাম্মদ আবুল কালাম, ইমরানুল কবীর, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং বকতিয়ার উদ্দিন খান।
ড. হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। টানা ১০ বছর রাঙ্গুনিয়ার এমপি। দুবারই পেয়েছেন মন্ত্রীত্ব। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সামলিয়ে বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন তিনি। এবারও চট্টগ্রাম ৭ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাকে। তার বিপরীতে মনোনয়ন ফরম নিয়েও জমা দেননি যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী।
নোমান আল মাহমুদ
মোছলেম উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর বোয়ালখালী-চান্দগাঁও (চট্টগ্রাম ৮) আসনে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সবেমাত্র হাল ধরেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। সময় পেয়েছেন মাত্র ৮ মাস। স্বল্প সময়ের জন্য যারা এমপি হয়েছিলেন তাদের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিতই ছিল, মনোনীতদের তালিকা চূড়ান্তের একদিন আগে যার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ দলের সাধারণ সম্পাদক।
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, মাঈনুদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান, আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চুসহ ২৭ জন।
মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের চমক ছিল মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলুর হাত থেকে বৈঠা উঠে তাঁর হাতে। সেবার চট্টগ্রামের ১৫টি আসনের পুরনো সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মনোনয়ন পান তিনি। নির্বাচনী বৈতরণীও পার করে যুক্ত হন সরকারি বহরেও। শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পড়ে তার কাঁধে।
এবার নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দুই সহ-সভাপতি সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ ইফতেখার সাইমুনসহ অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন এই আসন থেকে।
মহিউদ্দিন বাচ্চু
চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী, ডবলমুরিং) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনি কয়েকমাস আগে অনুষ্ঠিত হওয়া উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি ছাড়াও ১৯ জন আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। শীর্ষ নেতাদের মনোনয়ন না দিলে এবারও তার কপাল খুলতে পারে বলে ধারণা ছিল সবার। যদিও উপ-নির্বাচনের এমপি হিসেবেও বল অনেকটা তার কোর্টেই ছিল। তাই হয়েছে, আসনটিতে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু। নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।
এম এ লতিফ
বন্দর আসনে আবার মনোনয়ন পেয়েছেন তিন বারের সাংসদ এম এ লতিফ। ব্যবসায়ী নেতা লতিফ ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রথম আওয়ামী লীগে সক্রিয় হন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য।
চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) ও কর্ণফুলী ইপিজেডের এই আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনসহ অনেকেই। গুরুত্বপূর্ণ এই আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন অন্তত দুই ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মোতাহেরুল ইসলাম
গেল আগস্টে গণভবন থেকে পূর্ণ সভাপতির মর্যাদা নিয়ে চট্টগ্রাম ফিরেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহেরুল ইসলাম। এবার আরেক অর্জন তাঁর। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
দুইবারের সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বদিউল আলম। মনোনয়ন প্রত্যাশার সারিতে ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়বসহ আওয়ামী লীগের অনেকে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ
আওয়ামী লীগ আবার সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ওপর আস্থা রেখেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনীত করেছে। ২০১৩ সালে বাবা আখতারুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যুর পর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে ফের বিজয়ী হয়ে ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম
চট্টগ্রাম ১৪ আসনে নজর পড়েছিল ডজনের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশীর। তালিকায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি মফিজুর রহমান থেকে শুরু করে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ, মোহাম্মদ আবদুল কৈয়ম চৌধুরী এম মাসুদ আলম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, মোহা. কায়কোবাদ ওসমানী, মোহাম্মদ আবদুল কৈয়ম চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আবুল বশর ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান, মামুন উল হক চৌধুরী, শাহিদা আক্তার জাহান ও আবু আহমেদ চৌধুরীর। সবাইকে পাশ কাটিয়ে মনোনয়ন পেয়ে গেলেন বর্তমান সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী
ফের মনোনয়ন পেলেন প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী। এই আসনে হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব ও কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন। তারা ছাড়াও এই আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈনুদ্দিন হাছান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় স্বাচিপ নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সৈয়দ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন,সাজেদা সুরাত, মঈনুল ইসলাম মামুন, কামরুন নাহার, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ জাহাঙ্গীর,এরশাদুল হক, জসীম উদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, আবু সফিয়ান, অহিদ সিরাজ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন।
মোস্তাফিজুর রহমান
বাঁশখালীর বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানকে ঠেকিয়ে দলের টিকিট কেটেছিলেন হেভিওয়েট অনেকে। আঁটসাটভাবে মাঠে নেমেছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি। টিকিটের আশায় শেষ সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ার ছেড়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অ্যাডভোকেট সোলতানুল কবির চৌধুরীর উত্তরসুরি দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। কিন্তু শেষমেশ নৌকা পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।