ভীতি নয় ‘হার্নিয়া রোগ‘ সর্ম্পকে সচেতনতা জরুরী : ডা.মোরশেদ আলী

ডা.মোরশেদ আলী :: হার্নিয়া রোগ কী : মানুষের পেটের অভ্যন্তর হতে নাড়িভুড়ি (intestine), ওমেন্টাম( এক ধরনের চর্বির ঝিল্লি) বা অন্য কোন অঙ্গ পেটের কোন দূর্বল পথ বা ছিদ্র দিয়ে পেটের বাইরে (কিন্তু চামড়ার নিচে) চলে এসে ফুলে যাওয়াকে হার্নিয়া বলে। (ব্যতিক্রম আছে)

কাদের হার্নিয়া হয় :

যে কোন বয়সে যে কারো হার্নিয়া হতে পারে।
বাচ্চাদের (ছেলেদের বেশি)  জন্মগতভাবে হতে পারে।
মেয়ে শিশু  এবং মহিলাদের তুলনামুলক কম হয়।
যারা কায়িকশ্রমে নিয়োজিত সেসব পুরুষদের বেশি হয়।
ধূমপায়ীদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পূর্বে যাদের অন্য অপারেশন হয়েছে তাদের অপারেশনের জায়গায় হার্নিয়া হতে পারে।

হার্নিয়া রোগের  লক্ষন : এমন কোন ফোলা বা স্ফীতি যা কাশি, হাঁচি বা ভারী কিছু করলে বড় হয় আবার শোয়া অবস্থায় ছোট হয়ে যায়।

কী কী ধরনের হার্নিয়া হয় : Inguinal Hernia সবচেয়ে কমন যেখানে ফোলা তলপেট এবং উরুর সংযোগস্হল হতে অন্ডথলি পর্যন্ত নামতে পারে। তাছাড়া নাভিতে (Umbilical)), পেটের মাঝামাঝি যেকোন স্হানে (Ventral) এবং আগের কোন অপারেশন  এর স্হানে (Incisional Hernia) হতে পারে।

চিকিৎসা : একমাত্র অপারেশন এর মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব।

ঝুঁকি : অপারেশন না করালে নাড়িভুড়ি প্যাঁচ খেয়ে রোগীর জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এ রোগ দিন দিন বড় হয়ে জটিলতা তৈরি করে।

লেখক : ডাঃ মোরশেদ আলী, এমবিবিএস, বিসিএস,এফসিপিএস (সার্জারী),
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন, পার্কভিউ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।