এবার রাজনীতিতে গুণগত একটা পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের বিরোধিতা করে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, রাজাকারদের ক্ষমতায় এনেছে, সেই শক্তিকে এই নির্বাচনে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করাই সবার প্রত্যাশা।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রির্টার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ শেষে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।
নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এত দূর নিয়ে এসেছেন। আজকে স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের ভাবতে হয় জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসকারী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়ে। আজ জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে আর রাজনীতিতে রাখবে না।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘তারাও (বিএনপি) কিন্তু মাঠ ছেড়ে এখন মানুষকে গোপন আক্রমণ করার জন্য ইতোমধ্যে তাদের সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এই নির্বাচনে আমরা শুধুমাত্র নির্বাচন করব না, এই অপশক্তিকেও প্রতিহত করার কাজটাও করব। তাই সাধারণ মানুষকে আমরা বলছি, যার যার রাজনৈতিক মতামত- যাদের আপনারা পছন্দ করেন, যাদের নির্বাচনী ইশতেহার গ্রহণযোগ্য মনে হবে- আসুন তাদের পক্ষে ভোট দিই বা অপছন্দ হলে তাদের বিপক্ষে ভোট দিই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমি নিজেকে কখনো হেভিওয়েট কিংবা লাইটওয়েট প্রার্থী বলে ভাবিনি। সকল মানুষের একটা ওয়েট আছে, সকল রাজনৈতিক কর্মীরও ওয়েট আছে। আমি নিজেও নির্বাচনের মনোনয়ন বা নির্বাচনী রাজনৈতিক প্রশ্নে সরাসরি দলীয় একজন কর্মী হিসেবে কখনোই সেটা প্রকাশ করিনি। দলের ও বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে এসেছি, তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন দলের সবাইকে নিয়ে কাজ করার।’
নওফেল বলেন, ‘এবার আমাদের তরুণ ভোটারদেরকে নিয়ে- বিশেষ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগকে নিয়ে এগিয়ে যাব। এখানে ৫০ শতাংশ আমাদের ভোটার মহিলা, তাদের সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পুরো সংগঠনকে চাঙা করার একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। কারণ পরবর্তী নির্বাচনে কিন্তু তারা (বিএনপি) সর্বশক্তি দিয়ে নামবে। সেটা হচ্ছে পালিয়ে থাকা বিএনপি নেতা তারেক রহমানের পরিকল্পনা। সেটার জন্য তারা এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখানে আমাদের প্রস্তুতিটা রাজনৈতিক আর তাদের প্রস্তুতিটা অপরাজনৈতিক।’
এসময় নওফেলের সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন ধর, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন, ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আজিজুর রহমান আজিজসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পরে সিনেমা প্যালেস এলাকায় ১টার দিকে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন নওফেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশাত আলম সুজন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনসাধারণ।
প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন শেষে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শাহ আমানত (র.) মাজার ও বদর শাহ (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে জেল রোড এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিকাল সাড়ে ৪টায় আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন তিনি।