ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের মাহসড়কে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। চট্টগ্রাম বিভাগ পাহাড় ও সমতলের মেলবন্ধন এই পাহাড় আর সমতলের মানুষের বিভিন্ন ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে মোড়ানো। চট্টগ্রামের মানুষের বরাবরই সঙ্গীত প্রেমী। বাংলােেশর আধুনিক সঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের শিল্পী ও কলাকুশলীরে অবদান অনেক বেশি। এছাড়াও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান— ‘ওরে সাম্পান ওয়ালা’, ‘মধু হই হই’ গানগুলো ইতোমধ্যেই শিশু, যুবক কিংবা বৃদ্ধ সকলের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনের উদ্যোগে ফৌজদারহাট বন্দর সংযোগ সড়ক ডিসি পার্ক প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন পিপিএম সেবা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার সাংস্কৃতিক দল ও শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ধারাবাহিকতা রক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এতে চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দেশের মানুষের মাঝে আরো ছড়িয়ে পরার পাশাপাশি নতুন নতুন শিল্পী, কলাকুশলী ও সাংস্কৃতিক কর্মী তৈরি হবে।