কর্মবীর ‘আতিক খান’— মানুষের পাশে থাকাই যাঁর অঙ্গীকার

মেধা প্রজ্ঞা সংগঠক উদ্যোক্তাসহ অসংখ্য সমাজ সেবামূলক কাজের আলোকিত একজন মানুষকে নিয়ে এ লেখার অবতারণা। নাম মো. আতিক উল আজম খান। জন্ম চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকার জান আলী চৌধুরী বাড়িতে। ছোট বেলা থেকে বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম শহরে। শিক্ষা জীবন শুরু সেন্ট মেরিস স্কুল, ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমী। শিক্ষা জীবনেও সাফল্যের ঝুলিতে জমা হতে থাকে একের পর এক কৃতিত্ব।

৫ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান, এম এম ইস্পাহানীর পক্ষ থেকে স্কুলের সেরা মেধাবী ছাত্র হিসেবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পদক প্রাপ্তসহ আরো আনেক কৃতিত্বের অধিকারী এ স্বপ্নবাজ মানুষটি। সেই ছাত্র জীবনে শুরু করেন নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি দৈনিক পত্রিকা ও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে ছোট গল্প, ভ্রমণ কাহিনীসহ সমাজকে কিছু দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে লিখেছেন বেশ কয়েকটি বই।

কিভাবে এ কাজে এগিয়ে আসলেন? আপনার অনুভূতি কি এ কাজ করে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ কাজে এগিয়ে আসা বা অনুপ্রেরণা বলতে আমার আম্মা। আমার আম্মাই আমাকে এ কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়। সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দেন। আমার আম্মা জিনাত আজম একজন সমাজসেবী, লেখিকা ও একজন সংগঠক। তিনি চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের দীর্ঘদিন যাবৎ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে বয়সের কারণে এখন দায়িত্ব মুক্ত। আমার বাবা ছিলেন পেশায় একজন ব্যাংকার।

এছাড়া তিনি শখের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‌আমার শখের মধ্যে রয়েছে লেখালেখি, বাইপড়া, সংগ্রহ, ভাল সিনেমা দেখা, রক্তদান, ক্রিকেট বিশ্লেষণ এবং সমাজ সেবা। যার কথা না বললে নয় তিনি হচ্ছেন আমার সহধমির্ণী ফারহানা তেহসীন। তিনি একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, প্রাক্তন শিক্ষিকা ও লেখিকা এবং দুই কন্যা জুমানা কায়ানাত ও ইনারা পারিজাদের গর্ভধারনী মা।

কর্মসূত্রে ও পারিবারিকভাবে আতিক খান ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের প্রায় ৬৫টি দেশে। প্রচার বিমূখ এ আলোকিত মানুষ মানব প্রেম হৃদয়ে ধারণ করে নীরবে সমাজ পরিবর্তনে কাজ করে চলেন। তিনি শুরু করেন স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রদের সাথে নিয়ে তরুণদের স্বপ্ন দেখাতে এবং সফলতার আধুনিক কলাকৌশলী হিসেবে মানব সেবার কাজে লাগাতে। এই স্বপ্নবাজ একজন আতিক খান এর স্কুল জীবন ও কলেজ জীবন এবং পেশাগত জীবনের যে সমস্ত কাজের রূপকার হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর বর্ণনা হয়ত লিখে শেষ করা যাবে না।

তিনি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘অঙ্গিকার বাংলাদেশ’ নামের একটি অরাজনৈতিক প্লাটপর্ম, অসহায় হতদরিদ্র মানুষের সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সুনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে ‘অঙ্গিকার বাংলাদেশ’ নামের একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। ‘অঙ্গিকার বাংলাদেশ’ চট্টগ্রাম ভিত্তিক সংগঠন হলে ও সারা বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ‘অঙ্গিকার বাংরাদেশের’ ধারাবাহিক আয়োজনে স্থান পেয়েছে মসজিদ, এতিমখানা, মক্তব, স্কুলসহ অধিক মানবসেবা মূলক কাজ। অঙ্গিকার বাংলাদেশ যে সমস্ত কাজ করেছে সামান্য তুলে ধরা চেষ্টায় এ লেখা।

আতিক খান জানান, ‘অঙ্গীকার বাংলাদেশ’ ২০১৬-১৭ হতে মানবিক এবং দাতব্য কাজে নিয়োজিত আছে। সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন সমাজসেবা, জাতীয় দুর্যোগ, শরণার্থী সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের সংগঠনটি সরকারের সমাজকল্যান অধিদপ্তরে নাম নিবন্ধনকৃত।

এ সংগঠনের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো—
(১) সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য আমাদের নিয়মিত ফ্রি স্কুল ‘আলোর পথে’ এর নিবন্ধনকৃত ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যা ৯৫ জন।
(২) ২০১৭ এর বন্যায় জামালপুরে ৩২০টি দুগর্ত পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ।
(৩) ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো, মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২০ পরিবারের জন্য দুই সপ্তাহের সহায়তা প্রদান।
(৪) রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে তাদের জন্য ক্যাম্পের মধ্যে ঘরবাড়ি, খাবারের ব্যবস্থা, বাথরুম, মসজিদ, টিউবওয়েল প্রদান। রোহিঙ্গাদের জন্য ১৫০০ কম্বল বিতরণ। মোট বাজেট ছিল ১৭ লাখ টাকা।
(৫) ৪ বছর ধরে প্রতিবছর শীতের সময়ে অন্তত ৫০০-১০০০ দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র উপহার।
(৬) ঈদের সময় অন্তত ১০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে ইফতার, তাদের পরিবারের জন্য রমজানের বাজার এবং সবার জন্য ঈদবস্ত্র উপহার।
(৭) দরিদ্র মেধাবীদের জন্য বৃত্তি, কুরআন হাফেজদের জন্য বৃত্তি। দরিদ্র স্কুল আর মাদ্রাসার শিশুদের ইউনিফর্ম প্রদান।
(৮) ফ্রি রক্তদান কর্মসূচি, আই ক্যাম্প। বৃক্ষরোপন কর্মসূচি- ৪৫০০ চারা রোপন।
(৯) প্রতি রমজানে যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে স্বাবলম্বী প্রজেক্ট।
(১০) জাতীয় দিবসগুলোতে, ভালবাসা দিবসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
(১১) তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষকে শরবত পান করানো এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব, শীতকালে পিঠা উৎসব।
(১২) দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সাহায্য এবং দরিদ্র ঘরের কন্যার বিয়েতে অর্থ সাহায্য।
(১৩) চলমান করোনা ভাইরাস সংকটে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ। বিশ্ব মহামারি করোনাকালীন সময়ে ৩ সপ্তাহে যাবৎ ‘অঙ্গিকার বাংলাদেশ’ চট্টগ্রামে নিম্নমধ্যবিত্ত, ভ্যানচালক, দিনমজুর আর রিকশাচালকদের প্রায় ২ হাজার পরিবারে ২৫ টন খাবার বিতরণ করা।

রমজান মাসজুড়ে আমাদের যে পরিমাণ ইভেন্ট ও কার্যক্রম চলছিল, আমরা তার অর্ধেকও প্রচারে আনতে পারিনি। ব্যস্ততা, সময় আর আমাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা এর জন্য দায়ী। ধীরে ধীরে ইচ্ছা আছে, সেভাবে প্রচারে না আসা ইভেন্টগুলোকেও প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা। কারণ, এসব ইভেন্ট এর সাথে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর কাছে আমাদের কিছু প্রতিশ্রুতি আর দায়বদ্ধতা আছে।
পবিত্র রমজানে ‘অঙ্গীকার বাংলাদেশ’ এর কার্যক্রমগুলো—
(১) প্রতিদিন ২০০ জন করে এবং রমজানের শেষাংশে ৩০০ জন করে এতিম শিশুদের সাহরি ও ইফতার এর আয়োজন। এ প্রজেক্ট এর অধীনে সর্বমোট আনুমানিক ১৩৭০০ জন এতিম শিশু ইফতার ও সাহরি পেয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
(২) ৩০০০ জন ফকির, মিসকিন, নিম্নবিত্ত পেশাজীবি, হকার, রিকশাচালক, সিএনজিচালক আর পথচারীদের জন্য ইফতার ও সাহরির আয়োজন করা হয়।
(৩) ৪৪৪ টি প্রতিবন্ধী পরিবারকে ৪ জনের হিসাবে ১০-১২ দিনের জন্য রমজান মাসের শুকনো খাবার উপহার দেওয়া হয়।
(৪) ১১০ জন সিএনজি ড্রাইভারের পরিবারকে ৪ জনের হিসাবে ১০-১২ দিনের জন্য রমজান মাসের শুকনো খাবার উপহার দেওয়া হয়।
(৫) কিন্ডারগার্টেনের ৭০ জন শিক্ষকের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১০ জন শিক্ষকের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।
(৬) ১১০ জন আলেম এবং ইসলামি শিক্ষকের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
(৭) কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ৩০ জন মাঝি পরিবারকে ৪ জনের হিসাবে ১০-১২ দিনের জন্য রমজান মাসের শুকনো খাবার উপহার দেওয়া হয়।
(৮) ৬০ জন অন্ধ দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
(৯) ২৩২ জন নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে পরিচয় গোপন করে ৪ জনের হিসাবে ১০-১২ দিনের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ফয়েজ লেক কলোনি এলাকার ১১০ টি পরিবারও অন্তর্ভুক্ত।
(১০) স্বাবলম্বী প্রজেক্টের অধীনে ৩০টি সেলাই মেশিন, ৬টি রিকশা এবং ২টি রিকশা ভ্যান উপহার দেওয়া হয়।
(১১) স্বাবলম্বী প্রজেক্টের অধীনে একজন হোম ক্যাটারারকে ডিপ ফ্রিজ এবং ১ জন পাঠাও রাইডারকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
(১২) স্বাবলম্বী প্রজেক্ট এর অধীনে একজন নও মুসলিমকে সেলুন এর যন্ত্রপাতি এবং একজনকে ফ্রুটস ভ্যান উপহার দেওয়া হয়।
(১৩) নগরীর ১০ টি এতিমখানার ২০০ ছাত্রের জন্য ঈদের কাপড় উপহার দেওয়া হয়।
(১৪) নগরীর ১০ টি এতিমখানার ৫০০ ছাত্রের ঈদের দিনের স্পেশাল খাবারের জন্য পোলাও চাল,চিনি,সেমাই, পায়েস সহ বিভিন্ন আইটেম দেওয়া হয়।
(১৫) ঈদের দিন ১৪০ জন ফকির, মিসকিন, নিম্নবিত্ত পেশাজীবি এবং হকারদের জন্য স্পেশাল মেনু – মুরগি পোলাও, ডিম, ফিরনি ও পানি উপহার দেওয়া হয়।
(১৬) সাতকানিয়ার বাজালিয়াতে ৫০ জন কৃষকের পরিবারের জন্য ১০-১২ দিনের খাদ্য সহায়তা, গামছা এবং টুপি উপহার দেওয়া হয়।
(১৭) মিরসরাই ও রাঙ্গুনিয়ায় মোট ১০০ জন নিম্নবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ১০-১২ দিনের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
(১৮) এছাড়া বিভিন্ন সময় আমাদের পেইজ ও নিজস্ব মাধ্যমে আসা বিভিন্ন অনুরোধ যাচাই বাছাই করে প্রায় ৫০ টি পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা করা হয়।
(১৯ চকরিয়া ও কুড়িগ্রামের ৮০ জন বয়স্ক নারী পুরুষের জন্য শাড়ি ও লুঙ্গি উপহার দেওয়া হয়।
(২০) আগুনে পুড়ে যাওয়া একজন শিশুর চিকিৎসা খরচ বহনের দায়িত্ব নেওয়া হয়। এপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়া একজন দরিদ্র শিশুরও চিকিৎসা খরচ বহন করা হয়। একজন হাই ডায়াবেটিস রোগীর পচে যাওয়া পায়ের সার্জারি এবং পরবর্তী ফলো আপ চিকিৎসার খরচ বহন করা হয়।
(২১) ৩০ জন পরিবহন শ্রমিকের পরিবারকে ৪ জনের হিসাবে ১০-১২ দিনের জন্য রমজান মাসের শুকনো খাবার উপহার দেওয়া হয়।
(২২) ৬০ জন গার্মেন্টস শ্রমিকের পরিবারকে ৪ জনের হিসাবে ১০-১২ দিনের জন্য রমজান মাসের শুকনো খাবার উপহার দেওয়া হয়।
(২৩) ১২০ জন ফুল টাইম, পার্ট টাইম গৃহকর্মীদের পরিবারকে ৪ জনের হিসাবে ১০-১২ দিনের জন্য রমজান মাসের শুকনো খাবার উপহার দেওয়া হয়।
(২৪) দুজন পঙ্গু রোগীর জন্য দুইটা হুইল চেয়ার প্রদান।
(২৫) ইনবক্সে অনুরোধ আসা মধ্যবিত্ত বেশ কিছু পরিবারকে বিকাশে আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয়।
(২৬) আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ৩৩ জন ডাক্তার, কর্মচারী আর নার্সদের জন্য একদিনের ৩ বেলা খাবারের বিল পরিশোধ করা হয়।
(২৭) একটি মসজিদে ৫০ হাজার এবং অন্য একটি মসজিদে ৫৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়।
(২৮) দুইটি নিম্নবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত শিশুদের জন্য স্কুলের ১২৩ টি শিক্ষক, অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের জন্য ৪ জনের হিসাবে প্রতি পরিবারে ১০-১২ দিনের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।

যে স্বপ্নবাজ আলোকিত মানুষটির উদ্যোগে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক উদ্যমী নিবেদিত প্রাণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে মানব সেবার নজির স্থাপন করেছে সত্যিই তিনি মহান ও মহৎ। তিনি পেশায় একজন মাস্টার মেরিনার (সিঙ্গাপুর) মেরিন একাডেমীর ২৭তম ব্যাচের ছাত্র। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিদেশি জাহাজে কর্মরত। দেশের ক্লান্তিকালে এধরনের মানুষের আগমন ঘঠে। কেউ প্রচার হয় আবার কেউ প্রচার বিমুখ হয়ে নীরবে নিবৃতে কাজ করে যায়। মা’র অনুপ্রেরণায় একজন আতিক খান সমাজের অবহেলিত মানুষের মাঝে আলোক বর্ত্তিকা হয়ে আলো ঝড়িয়ে উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। সফল হউক ‘অঙ্গিকার বাংলাদেশ’ এর কর্ম পরিধি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন আতিক খানের সাথে কথা বলতে গিয়ে, তিনি কথার ছলে ছড়িয়ে দিলেন হাজারো স্বপ্নের গল্প ও বাস্তবতা। আমি যতই শুনি মুগ্ধ হয়েছি। সার্থক জন্ম, সার্থক গর্ভধারণী জননি সার্থক। সার্থক একজন আতিক খানের কর্ম।

অঙ্গীকার টিমের সব স্বেচ্ছাসেবকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল স্পন্সর আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাই ধন্যবাদ এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা।