- মোঃ আমিনুল ইসলাম জসিম
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ মোটর বাইক এর মাধ্যমে সংঘঠিত হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এতো পরিমানে মোটরবাইক এর লাইসেন্স প্রদান করা হয় না। বাংলাদেশে বৈধ লাইসেন্সধারী মোটর বাইকের সংখ্যা ৩৫ লাখের মত। অবৈধ মোটর বাইকের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখের মত।
এদেশের সড়ক ও মহাসড়কে মোটর সাইকেল চলার জন্য আলাদা কোনো লেইন নেই। তারপরও প্রতিদিন শত শত মোটর সাইকেল বিক্রি হচ্ছে। সরকার খুব সহজে লাইসেন্স দিচ্ছে।
এদেশের মোটর সাইকেল চালকদের বিশাল অংশ টিনএইজ আর। তাদের মা-বাবা অনেকটা শখের বসে সন্তানের হাতে মোটর সাইকেল তুলে দিয়ে তাদের অকালে মৃত্যু কিংবা চিরতরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
প্রতিদিন শত শত তরুণ বাইক দুর্ঘটনায় জীবন হারাচ্ছে। তরুণ বাইকারদের বেশির ভাগ প্রবাসীর সন্তান। অভিভাবকরা যদি এখনো সতর্ক না হন তাহলে আমাদের তরুণ প্রজম্মের একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। রাজপথে প্রতি দিন এই নির্মম মৃত্যুর হানায় অকালে শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবারের স্বপ্ন।
সন্তানের অকাল মৃত্যু সইতে না পেরে অনেক অভিভাবকও দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন। আসুন সচেতন হই। বিলাসিতার সামগ্রী হিসাবে সন্তানের হাতে মোটর সাইকেল না দিয়ে এই প্রজন্মকে রক্ষা করি।
মোটর সাইকেল আমদানি ও বিক্রিতে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বৈধ অবৈধ ভাবে আমদানি উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে। আঞ্চলিক এবং জাতীয় মহাসড়কে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। শুধু আমাদের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা নয়, আগামীর বাংলাদেশে বাঁচানোর জন্য সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে সোচ্চার হতে হবে । পরিবার সমাজ দেশকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
লেখক- কবি ও সংগঠক