গদি রক্ষায় আদালতকে ব্যবহার করছে সরকার : মির্জা ফখরুল

 

নারায়ণগঞ্জের ১০ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১০ জন নেতৃবৃন্দকে অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের ঘটনা দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর বর্তমান অবৈধ সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ।

তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার নিজেদের গদি জোর করে ধরে রাখতে আদালতকে দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে পাঠাতে বেপরোয়া ও বেসামাল হয়ে উঠেছে। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এভাবে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করা যাবে না। বরং সরকারের এ ধরনের উন্মত্ত আচরণে বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ না হয়ে বরং আরও বেশি বলীয়ান হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় কারও জীবনেরই ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবি মামলায় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদসহ নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতা মোশারফ মেম্বার, আতাউর মেম্বার, মাসুম শিকারি, মফিজুল ইসলাম, রিপন মেম্বার, আলী হোসেন, যুবদল নেতা ইমরান হোসেন, আসাদ এবং ছাত্রদল নেতা রনির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো সেই নির্যাতন ও হয়রানির নির্মম বহিঃপ্রকাশ।

মির্জা ফখরুল অবিলম্বে দলের নেতৃবৃন্দকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।