ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারে দুই হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এই সময় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। নিহত হয়েছেন দুইজন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
তিনি বলেন,‘ মোখার তাণ্ডব সন্ধ্যা ৭টার পর পুরোদমে শিথিল হয়ে যাবে। সিগন্যাল কমে এলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আড়াই লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে পারবেন।’
জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে সেসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে গেছে।’
আজ ভোরে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার কথা ছিল। তবে সকালে ভাটা থাকায় তা সেরকম প্রবল হয়নি।