গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন।
বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাত পৌনে ২টায় ৪৮০টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
তৃতীয় স্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি (রনি সরকার) হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।
নগরীর বঙ্গতাজ মিলনায়তনে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এই ঘোষণা হয়।
ভোটের ফল ঘোষণার সঙ্গে টেবিল ঘড়ি সমর্থকদের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। মায়ের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জাহাঙ্গীরও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত ফল পরিবেশন কেন্দ্রে না থাকলেও তার সমর্থকরা ছিলেন।
গাজীপুরে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়।
দেশের সর্ববৃহৎ এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ছিল ১১ লাখ ৭৯ হাজার। দুপুর পর্যন্ত ভোটের হার ৬০ শতাংশের মতো ছিল বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা ধারণা দিয়েছিলেন। তবে সার্বিকভাবে ভোটের হার দাঁড়ায় ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গোলযোগ ছাড়াই বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
ভোট চলাকালীন বড় একটা অনিয়মের অভিযোগ আসেন প্রার্থীদের কাছ থেকে। জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেছিলেন, ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে।
তবে সব মিলিয়ে এই নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, “আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জনগণ ও ভোটাররা সন্তুষ্ট। প্রার্থীরা সন্তুষ্ট। আপনাদের প্রতিনিধিরা (সাংবাদিক) সন্তুষ্ট। গণমাধ্যমেই তারা এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।”
ফল ঘোষণার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল এ নির্বাচনকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ উল্লেখ করে বলেন, “সারা বিশ্ব ও দেশের মানুষ তাকিয়ে ছিল গাজীপুরের দিকে। আমরা সক্ষম হয়েছি সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে। এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”