বান্দরবান : টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড়ধসে বান্দরবানে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ ও তিন জন নারী। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বন্যা ও পাহাড়ধসে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার তালিকা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। পানি কমে গেলে তালিকা করা হবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘জেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে পানিতে ভেসে গিয়ে এবং ডুবে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলা সদরের কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ ছিল না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগস্ট রাত থেকে শুরু হয় টানা বর্ষণ। লাগাতার আট দিনের টানা বর্ষণের ফলে ডুবে যায় জেলার প্রধান বাজার, ডিসির বাসভবন, এসপি অফিস ও বাসভবন, এলজিইডি অফিস, নির্বাচন অফিস, জজ কোর্ট, মেম্বারপাড়া, আর্মিপাড়া, হাফেজ ঘোনা, ইসলামপুর, কালাঘাটা এবং বালাঘাটাসহ শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকার বাড়িঘর। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমতে থাকে। বুধবার বিকাল থেকে ধীরে ধীরে নেমে যায় নিচু এলাকার পানি।