মাাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাগনে ও ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, মামা রাতে মারা গেছেন। তার মরদেহ আপাতত হিমাঘরে রাখা হয়েছে। এক মেয়ে দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে আসার পর মরদেহ দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী খাজা নার্গিস ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর পর তার নির্বাচনী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আবুল হোসেনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) আলাদা বার্তায় তারা শোক প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় তারা বলেন, আবুল হোসেনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো। নিজের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের বেতগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এবং ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।