চট্টগ্রামে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নূরী পালক (২০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নূরী চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার উত্তর গোসাইলডাঙ্গা এলাকার মৃত বশির পালকের মেয়ে।
আজ রোববার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হওয়ার পর সাজা এড়াতে ওই আসামি দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ হাতিরঝিলে তাঁর অবস্থানের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী গ্রামের বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং এলাকায় খালার বাসায় বেড়াতে আসেন ১৫ বছরের এক কিশোরী। সে একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আসামি নুরী পালক ভুক্তভোগী কিশোরীর খালাতো বোনের বান্ধবী ছিলেন।
২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তাঁর খালাতো বোনের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। ওই সময় নুরীর সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। নুরী তাদেরকে জানায় পাঁচ দিন আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। এ সময় বাসায় নিমন্ত্রণ দেন। নুরীর অনুরোধে একদিন ভুক্তভোগী কিশোরী তাঁর খালাতো বোনের সঙ্গে ডবলমুরিং এলাকায় আসামির বাসায় যায়। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন ব্যক্তির দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী।
এ ঘটনায় ২০২০ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পরে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামি নূরী পালককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।