দুবাইয়ে নির্দিষ্ট অর্থের সম্পদ কেনা কিংবা সেখানকার ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত রাখার শর্তে গোল্ডেন ভিসা প্রদান করে দেশটির সরকার। ১০ বছরের জন্য নবায়নযোগ্য এই ভিসা পাওয়া ৫৪৯ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, ৫৪৯ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মূলধন সুইচ ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে পাচার করেন। পরবর্তীতে সেটা দুবাইয়ে স্থানান্তর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের গোল্ডেন ভিসা সুবিধায় ১৭২টি প্রোপার্টি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন উপ-পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল, মো. আহসান উদ্দিন এবং মো. ইসমাইল হোসেনের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিশন থেকে কমিটিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪; দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর বিধান মোতাবেক অভিযোগটির অনুসন্ধান কাজ সম্পন্ন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।