বিবিএস'র জরিপ

পথশিশুদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ছেলে

পথশিশুদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ছেলে এবং ১৮ শতাংশ মেয়ে শিশু। বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর (বিবিএস) “পথশিশু জরিপ ২০২২”-এর ফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে। জরিপ প্রতিবেদনের ফলাফল তুলে ধরে ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলম উইং-এর পরিচালক মো. মাসুদ আলম বলেন, যথাযথ জরিপ পদ্ধতি অনুসরণ করে সারাদেশে প্রথম পর্যায়ে ০ থেকে ১৭ বছর বয়সী পথশিশুদের উপর কুইক কাউন্ট পরিচালনার মাধ্যমে স্যাম্পলিং ফ্রেম প্রণয়ন করা হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী পথশিশুদের উপর পথশিশু জরিপ ২০২১ পরিচালিত হয়।

তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পথশিশু অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ পথশিশু রয়েছে। পথশিশুদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ছেলে এবং ১৮ শতাংশ মেয়ে শিশু রয়েছে। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী পথশিশু রয়েছে ৫৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, লিঙ্গভিত্তিক বিভাজনে মেয়েদের তুলনায় হেলে পথশিশুর সংখ্যা অনেক বেশি, ১ জন মেয়ের বিপরীতে ৪ জন ছেলে শিশু। পথশিশুদের গড় বয়স ১২ দশমিক ৩ বছর। তিনি আরও বলেন, পথশিশুদের সর্ব্বোচ্চ ২০ দশমিক ৪ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগ এবং সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৯ শতাংশ সিলেট বিভাগের জেলাসমূহ থেকে এসেছে। এক্ষেত্রে পথশিশুর নিজ জেলা ময়মনসিংহ সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বরিশাল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ভোলা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, কুমিল্লা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, কিশোরগঞ্জ ৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং কক্সবাজার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

 

প্রধানত ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ পথশিশু দারিদ্রতা, ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাবা-মা শহরে আসার কারনে এবং ১২ দশমিক ১ শতাংশ কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে শহরে এসেছে।

প্রতি পথশিশুর ৫ জনের ২ জনই একা একা শহরে এসেছে। দশ জন পথশিশুর তিনজন কখনোই স্কুলে ভর্তি হয়নি। সকল পথশিশুর কেবল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে। খুব নগণ্য সংখ্যক পথশিশু নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশুনা করেছে। প্রায় চার ভাগের একভাগ পথশিশু ধূমপান করে এবং ১২ শতাংশ মাদকের নেশায় আসক্ত। ৬৪ শতাংশ পথশিশু তাদের পরিবারে ফিরে যেতে চায় না।