কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে চরম দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যা পল্লি ও শহর ভেদে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ ও ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে অতিদারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা পল্লি এলাকায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
২০১৬ সালের জরিপে এই হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২০ সালে বিবিএস এর প্রাক্কলনে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে বর্তমানে (২০২২) খানার গড় মাসিক আয় আগের তুলনায় বেড়ে ৩২ হাজার ৪২২ টাকা হয়েছে, যা ২০১৬ সালে ছিল ১৫ হাজার ৯৮৮ ও ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা মাত্র। এছাড়া দেশে ২০২২ থানার গড় মাসিক ব্যয় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা, যা ২০১৬ সালে ছিল ১৫ হাজার ৭১৫ ও ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা।
এতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে খানার খাদ্যপণ্য ক্রয় সংক্রান্ত ব্যয় ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০১৬ সালে ছিল ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ভোগ্যপণ্য সম্পর্কিত বায় বেড়ে ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে, যা ২০১৬ সালে ছিল ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০২২ সালে পরিচালিত খানার আয় ও ব্যয় জরিপে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী খানার শতকরা হার ৯৯ দশমিক ৩২ শতাংশ যা ২০১৬ ও ২০১০ সালে ছিল যথাক্রমে ৭৫ দশমিক ৯২ শতাংশ ও ৫৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে বিদ্যুতায়নের হার প্রায় শতভাগ।
একইভাবে ৯২ দশমিক ২১ শতাংশ খানা উন্নত টয়লেট সুবিধার আওতাধীন এবং ৯৬ দশমিক ১ শতাংশ খানায় নিরাপদ খাবার পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশ, যা ২০১৬ ও ২০১০ সালে ছিল যথাক্রমে ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৫৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।
জরিপের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, জনপ্রতি দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জনপ্রতি ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ দৈনিক ২৩৯৩ কিলোক্যালরি, যা ২০১৬ সালে ছিল ২২১০.৪ কিলোক্যালরি এবং ২০১০ সালে ছিল ২৩১৮.৩ কিলোক্যালরি।