চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে এখন বিএনপি-জামায়াত যে মিথ্যাচার করছে তা গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। তারাই তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করেছে।
তাই এদের সঙ্গে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করেছে।
এ কারণে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে তিন দফায় ক্ষমতায়। একটানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অভিযাত্রা ও মানুষের কল্যাণের জন্য সবচাইতে বেশি অবদান রাখতে পেরেছে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে বোয়ালখালী একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের সমর্থনে গণসংযোগের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তারা চায় যেকোনো ভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে।
এভাবে তারা সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রাখে এবং জোর করে ক্ষমতার লাগাম ধরে রাখতে অপচেষ্টা চালায়। আমরা এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমরা একটি জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচনকে যাতে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সে ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। এই নির্বাচনটি আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছি। কারণ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা প্রভাব ফেলবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচনে যাতে ভোটারদের আশানুরূপ উপস্থিতি থাকে সে জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে আনতে হবে। কারণ একটি মহল ছলে বলে কৌশলে ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে আসতে না পারে সেই কুমতলব করছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনি এলাকায় যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। এই সংসদের মেয়াদ আর মাত্র ৯ মাস। আমি নির্বাচিত হলে যতটুকু সম্ভব এলাকাবাসীকে সেবা প্রদানে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, তিমির বরণ চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন, হাজী বেলাল আহমদ, জহিরুল ইসলাম জহুর, মো. ঈছা, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন প্রমুখ