নোয়াখালীতে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইসমাইল হোসেন আজাদকে (৪৩) চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
দীর্ঘ ২২ বছর পালিয়ে থাকার পর সোমবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইসমাইল হোসেন আজাদ নোয়াখালীর হাতিয়া থানার জাহাজমারা এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর নোয়াখালীর হাতিয়া এলাকায় বসবাসকারী এক ভিকটিমকে ইসমাইল হোসেন আজাদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে ইসমাইল পলাতক ছিল। বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামির অনুপস্থিতে আদালত আসামি ইসমাইলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নোয়াখালী তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান থানায় পাঠান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে গোপনসূত্রে জানতে পারি- আসামি তার নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে খুলনা বাগেরহাটের ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করে। সেই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ২০০৪ সাল থেকে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। আসামি ইসমাইল গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে খুলনা বাগেরহাটের ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করেছিল। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।