লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় আরো দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা দুইজনই এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদীর ব্যক্তিগত সহকারী। আজ বুধবার (১০ মে) দুপুরে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের গোলাম রাব্বানির ছেলে মো. শহিদ উল্যাহ (৫৫)। তিনি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ নম্বর আসামি। এছাড়া একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে আলাউদ্দিন আলো (২৭)। অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এদিকে র্যাব ও পুলিশের অভিযানে এ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনো পর্যন্ত অধরাই রয়ে গেছে মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান আবুল কাশেম জিহাদী।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রধান আসামি কাশেম জিহাদীর ব্যক্তিগত সহকারী শহিদসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে। তাদের কাছ থেকে ঘটনা সংক্রান্ত কিছু তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। মামলার প্রধান আসামি কাশেম জিহাদীসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরো জানান, নোমান রাকিব হত্যার পর গ্রেফতারকৃত দুজন আত্মগোপনে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদ ও আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে গত ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং একটি অস্ত্রধারী বাহিনী প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান আসামি করে আরো ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৪ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।