ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা রোধে ৮ দফা সুপারিশ ট্রাফিকের

চট্টগ্রাম নগরের আখতারাজ্জুমান ফ্লাইওভারে প্রায় সময় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। কখনো ফ্লাইওভারের সীমানা দেয়ালে আবার কখনো সামনের গাড়ির পেছনে ধাক্কা লেগে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। নগরীর সবচেয়ে দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা রোধে এবার উদ্যোগ নিয়েছে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

এসব দুর্ঘটনা রোধে করণীয় ঠিক করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আজ ফ্লাইওভার সরেজমিন পরিদর্শন করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে আটটি সুপারিশ করা হয়েছে।

নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন জানান, নগরীর সড়ক এবং ফ্লাইওভারগুলো নির্মাণে কিছু ত্রুটি রয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে সিটি কর্পোরেশনকে আমরা একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। ফ্লাইওভারে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা সরেজমিন ফ্লাইওভারটি ঘুরে দেখি।

তিনি বলেন, এ সময় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে ফ্লাইওভারের দুর্বল বিষয়গুলো দেখানো হয়। বিষয়গুলো জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করার জন্য অনুরোধ করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারাও বিদ্যমান সমস্যার বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং সমাধান করার আশ্বাস দেন। সিটি কর্পোরেশনকে জরুরি ভিত্তিতে আটটি বিষয় সমাধান করার জন্য অনুরোধ জানান ডিসি জয়নুল।

যে আট সুপারিশে রয়েছে
যে আটটি বিষয় জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করতে সিটি কর্পোরেশনকে নগর ট্রাফিক বিভাগ সুপারিশ করেছে সেগুলো হলো-
(১):পুরো ফ্লাইওভারকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আওতায় আনা।
(২): ফ্লাইওভারে স্পিড ব্রেকার অপসারণ করে প্রয়োজনে ঝিকঝাক স্থাপন করা। অথবা স্পিডব্রেকারগুলো কমিয়ে কিছুটা সমান্তরাল করা।
(৩): বায়েজিদের সেনা কল্যাণ পেট্রোল পাম্প অংশে ফ্লাইওভারের মুখে মিড ডিভাইডার স্থাপন করা। সেখানে সড়কে মিড ডিভাইডার না াকায় মোটরসাইকেল ও ছোট যানবাহন উল্টোপে ফ্লাইওভারে উঠে যাচ্ছে সহজে।
(৪): এছাড়া ফ্লাইওভারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
(৫): হাইওয়ে রোডের মত ফ্লাইওভারের দুই পাশে জ্বল জ্বল করে এমন রং ব্যবহার করতে হবে।
(৬): স্পিড ব্রেকারগুলোতে ইল্যুমিনেটিং রং ব্যবহার করতে হবে। যাতে রাতে আলো পড়লে চোখে দেখা যায়।
(৭): জিইসির মোড়ে সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে ফুডপান্ডা মিড আইল্যান্ডটি জরুরি ভিত্তিতে ছোট আকৃতির করে গোল চত্বরের আদলে করতে হবে।
(৮) : সেন্ট্রাল প্লাজার দেয়াল ও ছাদে স্থাপিত ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলো সরিয়ে নিতে হবে। কারণ ফ্লাইওভার থেকে গাড়ি নামার পে চালকের চোখ বিলবোর্ডের আলোতে আটকে দিকভ্রান্ত হয়ে ত্রিকোণ আকৃতির আইল্যান্ডে গাড়ি ধাক্কা লাগে। ডিজিটাল বিলোবোর্ডের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।