কাপ্তাই হ্রদে ১৬ ঘণ্টায় তিন মরদেহ উদ্ধার

রাঙামাটি : রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে একইদিনে পৃথক ঘটনায় হ্রদের পানিতে তলিয়ে মারা যাওয়া তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাঙামাটি সদর, নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলাস্থ কাপ্তাই হ্রদ থেকে উদ্ধার নিহত তিনজনের মধ্যে একজন জেলে ও বাকি দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানা ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার ভোরে রাঙামাটি শহরের অদূরে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে নেমে শান্তি জীবন চাকমা নামের এক জেলে পানির নীচে তলিয়ে যায়।

বালুখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিপ্লব ত্রিপুরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হ্রদের পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী, স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় ৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকেলে শান্তি জীবনের মরদেহ উদ্ধার করে দমকল বাহিনী।

এদিকে, বুধবার সকালে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার চেঙ্গি নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া এক যুবকের মরদেহ ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। মৃত ব্যক্তির নাম দীপু চাকমা (২২)। তিনি উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের গোলসাছড়ি গ্রামের শান্তি লাল চাকমার ছেলে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চেঙ্গি নদী থেকে নিখোঁজ হওয়া দীপু চাকমার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুজন হালদার জানিয়েছেন, অনেক খোঁজাখুজির পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আমরা দীপু চাকমা (২২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

অপরদিকে, জেলার লংগদু উপজেলাধীন ভাসাইন্যাআদম ইউনিয়নের আমতলী পাড়া এলাকায় বুধবার বিকেলে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার আঘাতে নৌকা থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে তলিয়ে যায় স্থানীয় জেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩৪)। পরে স্থানীয়রা অক্সিজেনের মাধ্যমে হ্রদের পানিতে তল্লাশি চালিয়ে বুধবার দিবাগত নয়টার সময় জেলে আনোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করে। আনোয়ার ৫নং ভাসান্যা আদম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড়মাঠ, দক্ষিণ আমতলী পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।