২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ৯টি সাধারণ বোর্ড এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী এই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছে।
তবে মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়েছে কোরআন মজিদ ও তাজভিদ দিয়ে। আর কারিগারি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থীরা প্রথম দিন বাংলা-২ বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সারাদেশে তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৩৫টি। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১২ মার্চ। ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ বছরে ১১টি বোর্ডের মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮ জন, ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ছয় হাজার ৮৭৯ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭২ জন, মানবিক বিভাগে সাত লাখ ৬৯ হাজার ৪৪০ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৭১ হাজার ৫৬৭ জন।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজর ৮৪১ জন, ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। আর কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ জন, ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন।
এদিকে, প্রতি বছর শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে থাকেন। তবে এবার তা করবেন না শিক্ষা উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বিবেচনায় নিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে মন্ত্রী জানান, তিনি মনে করেন কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে পরীক্ষার্থীরা হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণায় পড়েন। একই সঙ্গে জনদুর্ভোগেরও সৃষ্টি হয়।
মন্ত্রী বলেছেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এ মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করেন সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।