চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ ৭ জন ডিআইজি ও ৫ মহানগরীর পুলিশ কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনাকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত বছরের ২৭ জুন তিনি চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) মো. সাইফুল ইসলামকেও রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাত্র দুই মাস আগে চলতি বছরের ২৩ জুন তিনি সিএমপি কমিশনার হিসেবে চট্টগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন।
বদলি হওয়া অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমানকে রেলওয়ে পুলিশে, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমানকে নৌ পুলিশে, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হককে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিকে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও, রাজশাহী মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে টিঅ্যান্ডআইএমে, সিলেট মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. জাকির হোসেন খানকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই), গাজীপুর মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মাহবুব আলমকে রেলওয়ে পুলিশে এবং বরিশাল মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) জিহাদুল কবিরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।